হবিগঞ্জ নিজস্ব প্রতিবেদক : হবিগঞ্জ শহরে ভাড়াটে লোকদের দিয়ে ভাবির ঘর গুঁড়িয়ে দিতে গিয়ে ধরা খেলেন স্বামী-স্ত্রী। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা তাদের আটক করে। পরে সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে দখলদারদের পুলিশে হস্তান্তর করে। শহরের দানেশ্বরবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে প্রয়াত বড় ভাইয়ের জায়গা নিয়ে ভাবি ও ভাতিজির সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল দেবাশীষ রায় প্রবাল ও তার স্ত্রী আলো রায়ের। সম্প্রতি বাবার জায়গায় বিধবা মায়ের জন্য একটি ঘর নির্মাণ করে দেন মেয়ে ঋত্বিকা সাহা। কিন্তু এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চাচা প্রবাল ও তার স্ত্রী।
গত শনিবার সকালে ভাড়াটে লোকদের নিয়ে ভাবির ঘরটি ভাঙতে যান প্রবাল। এ সময় বুলডোজার দিয়ে ঘরটি গুঁড়িয়ে দিতে শুরু করলে বাধা দেন ঋত্বিকা ও তার মা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রবাল ও তার ভাড়াটে লোকজন মা-মেয়েকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। একপর্যায়ে দখলদারদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন স্থানীয় লোকজন। তারা ঋত্বিকা ও তার মাকে উদ্ধার করে দখলদারদের গণপিটুনির প্রস্তুতি নেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দখল ও হামলার অভিযোগে প্রবাল ও তার স্ত্রীকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় জনগণ তাদের ধিক্কার জানিয়ে ডিম ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে বুলডোজার ও একটি ট্রাক জব্দ করে সেনাবাহিনী।
এ ব্যাপারে আহত ঋত্বিকা সাহা বলেন, ‘আমার বাবা নাই। বিধবা মায়ের জন্য আমি একটা ঘর বানিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু এ ঘরটিও তারা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। আমরা বাধা দেয়ায় আমার বৃদ্ধ মাকে তারা রড দিয়ে মেরে আহত করেছে। আমাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। তাদের গুন্ডা বাহিনী আমাকে মেরে আমার গলার স্বর্ণের হার ও চুড়ি ছিনিয়ে নেয়। আমরা তাদের বিচার চাই’