বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : অবরুদ্ধ গাজার আল শিফা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের (আইসিইউ) কোন রোগীই আর বেঁচে নেয় বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) হাসপাতালটির পরিচালক মুহাম্মদ আবু সালমিয়া রয়টার্সকে জানান, হাসপাতালের আইসিইউর কোন রোগীই এখন আর বেঁচে নেই, প্রতিমুহূর্তে একজন করে ফিলিস্তিনি মরছে।
হাসপাতালে ইসরায়েলের হামলা শুরুর পর চিকিৎসা কার্যক্রমে বাধার কারণে আইসিইউ, এনআইসিইউর সহ সকল গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটগুলোর কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। ইসরায়েলি বাহিনী পুরোপুরি অবরুদ্ধ করার পর রোগী, চিকিৎসাকর্মী এবং আশ্রয় নেওয়া মিলিয়ে ৭ হাজার লোক হাসপাতালে আটকা পড়েছে। যদিও চিকিৎসকরা এখনও রোগীর সেবায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তবে খাবার, পানি ও বিদ্যুতের অভাবে কোন ভাবেই ঠিক রাখা যাচ্ছে না চিকিৎসাসেবা।
ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ২৫টি হাসপাতাল ও ২৫০ চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। ধ্বংস হয়েছে কমপক্ষে ৫৫টি অ্যাম্বুলেন্স। ৯৫ হাজারেরও বেশি সরকারি স্থাপনা বিধ্বস্ত হয়েছে বলে এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে গাজা কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, গাজার খান ইউনিস এলাকার কয়েকটি শহরের বাসিন্দাদের সতর্ক করে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়ের উদ্দেশে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর আগে গাজার উত্তরাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল দখলদাররা।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়, জিম্মি করা হয় ২৫০ জনকে। এরপরই পাল্টা প্রতিশোধ নিতে গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে এখন পর্যন্ত ১২ হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি মারা গেছে যার এক তৃতীয়াংশই শিশুই।