বঙ্গনিউবিডি ডেস্ক: বোটানিক্যাল গার্ডেনের প্রবেশ ফি ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে একলাফে ১০০ টাকা করার বিষয়টিকে অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
প্রবেশ ফি বাড়ানোর বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখানে একটা রাজস্ব চাহিদা আছে। তবে এতো বাড়ানো উচিত না বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। এটা অযৌক্তিক।
সাবের হোসেন চৌধুরী আরও জানান, পরিবেশদূষণ রোধে প্রতিটি বিভাগে দুটি করে সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিকমুক্ত (এসইউপি) স্কুল ক্যাম্পাস বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে পাঁচটি স্কুলকে গ্র্যাজুয়েশন সিরেমনির মাধ্যমে এসইউপিমুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে, এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের বন অধিশাখা-১ থেকে গত ২১ এপ্রিল একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এছাড়া দৈনিক পত্রিকায় এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। গার্ডেনে প্রবেশের গেটেও এ নিয়ে নির্দেশনামূলক ব্যানার টানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ করার জন্য ১২ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে জনপ্রতি ১০০ টাকা প্রবেশ ফি দিতে হবে। আর এর চেয়ে কম বয়সীদের জন্য প্রবেশে ফি দিতে হবে ৫০ টাকা। তবে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অগ্রিম অনুমতি নিয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনে গেলে ১০০ জনের একটি দলের জন্য ১ হাজার টাকা ফি দিতে হবে। এর চেয়ে বেশিজনের দল হলে ফি দেওয়া লাগবে দেড় হাজার টাকা। গবেষকেরাও এই ফির আওতাভুক্ত থাকবেন।
প্রজ্ঞাপনে বিদেশি পর্যটক ও শরীরচর্চার জন্য উদ্যানে যারা নিয়মিত হাঁটতে যান, তাদের জন্যও আলাদা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রত্যেক বিদেশি পর্যটকের জন্য ১ হাজার টাকা বা সমমূল্যের ইউএস ডলার প্রবেশ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর উদ্যানে হাঁটতে যাওয়া ব্যক্তিদের একটি বার্ষিক কার্ড করাতে হবে। এর জন্য ফি দেওয়া লাগবে ৫০০ টাকা। তবে অবস্থান করা যাবে মাত্র ১ ঘণ্টা। অথচ শরীরচর্চার জন্য আগে উদ্যানে গেলে কোনোরকম ফি লাগত না।
বোটানিক্যাল গার্ডেনে প্রবেশ ফি বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এত অধিক হারে ফি বাড়ানোটা অনুচিত ও অযৌক্তিক মনে করছেন রাজধানীবাসীও।