বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সবচেয়ে বিস্ময়কর নাম নাজমুল হোসেন শান্ত। পারফরম্যান্সের কারণে দল থেকে বাদ পড়ার পর কোনো কিছু না করেই আবার বিশ্বকাপ দলে ফিরেছেন বাঁহাতি ওপেনার। তাকে ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে বিবেচনায় ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে নেওয়া হয়েছে। খেলবেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজ ও নিউ জিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ।
বিযার হয় না নয়ে, তার হয় না নব্বইয়ে, এ প্রবাদটা শান্ত জানেন কি-না জানা নেই। তবে মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে যা হলো তার সঙ্গে এ প্রবাদটার তুলনা তো করাই যায়। বাংলাদেশের ক্রিকেটে শান্তকে নিয়ে একটা মিথ চালু আছে, অনুশীলন নেটে তাকে দেখলে নাকি, যেকোনো বিশ্বজয়ী দলেও নিয়ে নেবেন কোচরা। তবে এ মানুষটারই মাঠের খেলা দেখাটা ঠিক ততটাই বিরক্তির উদ্রেক করবে সেই কোচকেই।
মিরপুরে ঐচ্ছিক অনুশীলনে সকাল সকাল এসেও মূল উইকেটে জায়গা না পেয়ে চলে গিয়েছিলেন ইনডোরে। সেখানে কোচ সোহেল ইসলামকে নিয়ে চলে তার কার্যক্রম। পরে ঘণ্টাখানেক পর বেরিয়ে আসেন শান্ত।
মূল পিচে এসেই অনেকটা দেখনদারি শট খেলার চেষ্টা করতে থাকেন শান্ত। কিন্তু কোনোভাবেই উইকেটের বাউন্সের সঙ্গে তাল মেলাতে পারছিলেন না। টাইমিংটাও হচ্ছিল না ঠিকঠাক। এ সময় বাউন্স বুঝে হিট করার আগেই তার পিঠে আঘাত করে একটা বল। আঘাত পেয়ে কিছুটা রেগে ওঠেন শান্ত। শেষে নেট বোলারদের তেড়েফুঁড়ে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারার চেষ্টা করেন। তবে সেটা মিস করে আর শান্ত থাকেননি এ ব্যাটার। রেগে যান নিজের ওপর, ঘুরে ব্যাট দিয়ে আঘাত করে ভেঙে ফেলেন স্টাম্প।
শান্ত চলে যেতেই মাঠে আসেন বিশ্বকাপের মূল স্কোয়াডে থাকা আরেক ক্রিকেটার সাব্বির রহমান। কিন্তু ততক্ষণে অন্যদের অনুশীলন শেষ হয়ে যাওয়ায়, চলে যান সব নেট বোলাররা। সৌম্য, সোহান, ইয়াসিরদের সঙ্গে বিশ্বকাপের আলোচনায় না থাকা শামীম পাটোয়ারিও একঝাঁক নেট বোলারের সার্ভিস পেয়েছেন অথচ একা একাই নিজেকে ঝালাই করে নিতে হয়েছে সাব্বিরকে। একমাত্র থ্রোয়ার রমজানই ছিল তার ভরসা।