বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক:‘নাপা সিরাপ’ খেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জানা যাবে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ)। এর আগে তদন্ত কার্যক্রম শেষে নাপা সিরাপের নমুনা নিয়ে রবিবার (১৩ মার্চ) ঢাকায় ফিরেন তদন্ত কমিটি।
সোমবার (১৪ মার্চ) সকালে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক আইয়ুব হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালসে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থেকে দুটি প্রতিনিধিদল পাঠানো হয়েছে। তাদেরকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। সে হিসেবে মঙ্গলবার যেকোনো সময়ে প্রতিবেদন জমা দেবেন তারা। নাপা সিরাপ খেয়ে মৃত্যুর কারণ হয়তো তখনই জানা যাবে।
আইয়ুব হোসেন বলেন, ইতোমধ্যেই আমরা সারাদেশের জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ঔষধ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দিক-নির্দেশনা পাঠিয়েছি। সবাইকে বেক্সিমকো ফার্মাসিটিক্যালসের প্যারাসিটামল ১২০ মিলি গ্রাম ও ৫ মিলি গ্রাম সিরাপের (ব্যাচ নং ৩২১১৩১২১, উৎপাদন তারিখ ১২/২০২১, মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ১১/২০২৩) পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আশা করছি ঘটনার মূল কারণ খুব শিগগিরই বেরিয়ে আসবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত কমিটি সরেজমিন তদন্ত করে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুপুর সাহাকে প্রধান করে ৩ সদস্যের পৃথক আরেকটি পরিদর্শন কমিটি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গেল ১০ মার্চ রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের ইয়াছিন খান (৭) ও মোরসালিন খান (৫) নামের দুই শিশু মারা যায়। তাদের মা লিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, নাপা খাওয়ার পর তারা মারা গেছে।
ওই ঘটনা তদন্তে আলাদা ২টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয় থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মহিউদ্দিনকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন ও ফেনীর সিভিল সার্জন ডা. রফিক-উস-ছালেহীন। তদন্ত কমিটিকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।