আহতরা হলেন, ব্রাজিলের সাপোর্টারের চাচা নওয়াব মিয়া (৬০) ও আর্জেন্টিনার তিন সাপোর্টার জাকির মিয়া (৩২), সেলিম (৪৫) ও সৈয়দাবুর রহমান (৩৫)। তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে৷
প্রথমে বিকেলে একই গ্রামে ব্রাজিলের সাপোর্টার রেজাউলের চাচা নওয়াব মিয়া (৬০)কে একা পেয়ে আর্জেন্টিনার সাপোর্টার মো. জীবন মিয়া আরও ৪/৫ জন মিলে মারধোর করে পালিয়ে যায়। তাকেও বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহত নওয়াব মিয়া সাদেকপুর ইউনিয়নের আলাকপুর গ্রামের মৃত হেলু মিয়া ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোপা আমেরিকার ব্রাজিল বনাম পেরুর মধ্যকার সেমিফাইনাল খেলায় ব্রাজিল ১-০ গোলে জয়ী হয়। খেলা শেষে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নওয়াব মিয়ার ভাতিজা ব্রাজিল সাপোর্টার রেজাউলের সাথে একই এলাকার আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে আর্জেন্টিনার সাপোর্টার মো. জীবন মিয়ার খেলা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে তারা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় তাদের ফিরিয়ে দেন। পরে বিকেলে রেজাউলের চাচা নওয়াব মিয়াকে দামচাইল বাজারে একা পেয়ে মো. জীবন মিয়াসহ আরও ৪/৫ জন মিলে মারধোর করে পালিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যার দিকে নওয়াব মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে।
চাচাকে মারধোরের জেরে মঙ্গলবার রাতে ব্রাজিলের সাপোর্টার রেজাউলের চাচা নওয়াব মিয়ার ছেলে আরমান, ফুল মিয়ার ছেলে আলী হোসেন ও শাহজাহান মিয়ার ছেলে ইসহাক মিয়া আর্জেন্টিনার সাপোর্টার জীবন মিয়ার চাচা মন মিয়ার ছেলে সেলিম, রেনু মিয়ার ছেলে সৈয়দাবুর রহমান ও লাল মিয়ার ছেলে জাকির মিয়াকে বাজারে পেয়ে পেটুনি দেন। তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনাটি আমরা জানতে পেরেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আহতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।