দিনের খেলায় লঙ্কানদের ৫ উইকেটের ৩টিই নিয়েছেন তাসকিন। প্রথম দিনের থেকেও লাইন-লেন্থ মেনে দারুণ বোলিং করে গেছেন। পুরষ্কার স্বরূপ এই ধরণের ব্যাটিং পিচেও পেয়েছেন উইকেটের দেখা। প্রথম উইকেটটা ১৪০ রান করা লাহিরু থিরিমান্নের। ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছিলেন এই বাঁহাতি। হঠাৎই একটু মনোযোগ হারান।
শরীর তাক করে আসা তাসকিনের বল শাফল করে খেলার চেষ্টায় করলে তার গ্লাভস ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে। ভাঙে ওশাদা ফার্নান্দোর সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ১০৪ রানের জুটি। দুই বল পরই আরেকটি উইকেট পাওয়ার সুযোগ এসেছিল তাসকিনের। তার অফ স্টাম্প ঘেঁষা দুর্দান্ত ডেলিভারি ডিফেন্স করার চেষ্টায় পরাস্ত হন এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস।
বোলার, উইকেটরক্ষক, অধিনায়ক কিংবা ফিল্ডারই কেউই আবেদন করেননি। কিন্তু আল্ট্রা এজ-এ প্রমাণ মেলে ব্যাটে বলের স্পর্শের। সেটির চড়া মূল্য অবশ্য দিতে হয়নি বাংলাদেশকে। নিজের এক ওভার পরই তাসকিন ফিরিয়ে দেন ম্যাথুসকে। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আসা ক্যাচ ঝাঁপিয়ে গ্লাভসে বন্দী করেন লিটন। শূন্য রানে বেঁচে যাওয়া ম্যাথুস ফেরেন ৫ রানে।
প্রথম টেস্টে দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস খেলা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে টিকতে দেননি তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বল জায়গায় দাঁড়িয়ে ডিফেন্স করতে চেয়েছিলেন ধনাঞ্জয়া। ব্যাটের কানায় স্পর্শ করে লিটনের গ্লাভস ছুঁয়ে বল চলে যায় স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। দুইবারের চেষ্টায় বল মুঠোবন্দি করেন তিনি।
দ্বিতীয় সেশনের প্রথম ঘণ্টা নিরাপদেই কাটিয়ে দেয় শ্রীলঙ্কা। ওশাদার সঙ্গে জমে যায় পাথুম নিশানকার জুটি। পানি পানের বিরতির কিছুক্ষণ পর এই জুটি ভাঙতে অধিনায়ক দ্বারস্ত হন তাসকিনের। হতাশ করেননি, চতুর্থ বলেই বোল্ড করে দেন নিসাঙ্কাকে। আউট হয়েছেন মাত্র ৩০ রান করে। এদিকে চমৎকার বোলিং করলেও পুরস্কার পাচ্ছিলেন না মিরাজ।
অবশেষে ওশাদা ফার্নান্দোকে ফিরিয়ে পান প্রথম সাফল্য। সুইপ করার চেষ্টায় বল তার গ্লাভস-প্যাড-ব্যাট ছুঁয়ে ক্যাচ উঠে যায়। ব্যাটসম্যানের চাওয়া বুঝতে পেরে লিটন আগেই সরে যান লেগে, গ্লাভসে জমান সহজ ক্যাচ। শেষ হয় ওশাদার ৮১ রানের ইনিংস। এরপর দলের রান বাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব নেন নিরোশান ডিকওয়েলা। খেলতেও থাকেন বেশ আত্রমণাত্বক মেজাজে। মাত্র ৪৮ বলেই ঝুয়ে ফেলেন হাফ সেঞ্চুরি। দিন শেষে অপরাজিত আছেন ৬৪ রানে। তার সঙ্গি হিসেবে আছেন রমেশ মেন্ডিস। তিনি অপরাজিত ২২ রানে। বাংলাদেশের হয়ে ৩টি উইকেট তাসকিনের। আর ১টি করে তাইজুল, মিরাজ এবং শরিফুলের।