বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : চলতি বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান ও ইংল্যান্ড। কিন্তু বর্তমান ওয়ানডে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টসে হেরেই সেমির স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয়ে যায় পাকিস্তানের। কাগজে-কলমে ক্ষীণ সম্ভাবনা থাকায় ইংলিশদের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার দরকার ছিল বাবর আজমদের। তবে এদিন টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং বেছে নেন জস বাটলার। এতে শেষ চারে যাওয়ার স্বপ্নও ধুলোয় মিশে যায় দ্য গ্রিন ম্যানদের।
শনিবার (১১ নভেম্বর) কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ব্যাটিংয়ে নেমে বেন স্টোকস, জনি বেয়ারস্টো ও জো রুটের অর্ধশতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৩৭ রানের পুঁজি দাঁড় করায় ইংলিশরা। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৩ দশমিক ৩ ওভারে ২৪৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাবর আজমের দল। এতে বিশ্বকাপে ব্যর্থ মিশন শেষে বিদায় নিলো দ্য গ্রিন ম্যানরা।
অসম্ভব লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি পাকিস্তানের। উল্টো প্রথম পাওয়ার প্লেতেই জোড়া উইকেট হারায় তারা। ৯ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৩৮ রান তুলে দ্য গ্রিন ম্যানরা।
এরপর ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব নেন মোহাম্মড রিজওয়ান ও অধিনায়ক বাবর। তবে এই জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দলীয় ৬১ রানেই ফেরেন পাকিস্তান অধিনায়ক। এরপর দলীয় ১০০ রানের মাথায় ফেরেন রিজওয়ানও। এতেই শঙ্কা জাগে অল্প রানে দ্য গ্রিন ম্যানদের গুটিয়ে যাওয়ার। তবে সেই শঙ্কা উড়িয়ে দেন আগা সালমান, ইফতেখার ও সৌদ শাকিল।
এরপর ১৫০ রানের মাথায় ৭ উইকেটের পতন হলে আবারও শঙ্কা জাগে পাঁচে থেকে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ মিশন শেষ করার। কেননা, ১৮৮ রানের আগে গুটিয়ে গেলে ছয়ে নেমে যেত দ্য গ্রিন ম্যানরা। তবে শেষ পর্যন্ত তা আর হয়নি।
শেষ দিকে হারিস রউফের ৩৫ ও ওয়াসিম জুনিয়ের ১৬ রানে সুবাদে ৪৩ দশমিক ৩ ওভারে ২৪৪ থেমেছে বাবর আজমের দল।
এর আগে, টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দারুণ শুরু করেন জনি বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান। তবে ব্যক্তিগত ৩১ রানে মালান ফিরলে দলীয় ৮২ রানে ভাঙে এই জুটি।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে জো রুটকে সঙ্গে নিয়ে রানের গতি এগিয়ে নেন বেয়ারস্টো। বেশ দেখেশুনে খেলেই নিজের ক্যারিয়ারের ১৭তম অর্ধশতক তুলে নেন বেয়ারস্টো। তবে ব্যক্তিগত ৫০ রানের পরই প্যাভিলিয়নে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। দলীয় ১০৮ রানে ৫৯ রানে থাকা বেয়ারস্টোকে সাজঘরে ফেরান হারিস রউফ।
তৃতীয় উইকেটে রুটকে সঙ্গে নিয়ে দ্য গ্রিন ম্যানদের বোলারদের ওপর চড়াও হন স্টোকস। তবে দলীয় ২৪০ রানে ফেরেন তিনিও। এতে ভেঙে যায় এই দুই ব্যাটারের ১৩২ রানের জুটি। শাহিন আফ্রিদির বলে আউট আউট হওয়ার আগে ৭৬ বলে ৮৪ রান করেন স্টোকস।
এরপর বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি রুটও। ব্যক্তিগত ৬০ রানে থামেন তিনি। পরে জোড়া উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল ইংলিশরা। তবে সেই ধাক্কা সামলে নেন জস বাটলার ও হ্যারি ব্রুক।
দলীয় ৩০২ রানে ব্রুক ফিরলে ভেঙে যায় তাদের ৪৫ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৩৭ রানের সংগ্রহ পায় বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
পাকিস্তানের হয়ে হারিস রউফ তিনটি এবং শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র দুটি করে উইকেট শিকার করেছেন।