বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল রয়েছে সাফ মিশনে। এর মধ্যেই আজ এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইয়ের জন্য ৩৮ সদস্যের দল ঘোষণা হয়েছে। এই ৩৮ জনের মধ্যে ১১ জনই সিনিয়র জাতীয় দলের ক্যাম্পে রয়েছেন। বাকি ২৭ জনকে আগামীকাল (শনিবার) বিকেলে আবাহনী ক্লাবে ম্যানেজার সত্যজিতৎ দাশ রুপুর কাছে রিপোর্ট করতে হবে।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে জাতীয় দলের অনুশীলন দেখতে এসেছিলেন অনূর্ধ্ব-২৩ দলের দায়িত্ব নেওয়া কোচ মারুফুল হক। বাফুফে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মারুফকে পরিচয় করিয়ে দেয়নি। এর আগেই ৩৮ সদস্যের তালিকা প্রকাশ করেছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। দল সম্পর্কে মারুফুল হক বলেন, ‘লিগের পারফরম্যান্স অনুযায়ী খেলোয়াড়দের ডাকা হয়েছে। এই দলের অনেকে আবার জাতীয় দলেরও অংশ। জাতীয় দল মালদ্বীপ থেকে ফেরার পর মূলত দল ছোট করার কাজ হবে।’
ঘরোয়া লিগে যারা খেলেছেন তাদেরই মূলত ডেকেছেন মারুফ। তেমন কোনো বিশেষ চমক নেই। ঘরোয়া লিগে খেলা তারিক কাজী ছাড়া অন্য কোনো প্রবাসী নেই মারুফের দলে। তবে মারুফের ৩৮ জনের দলের মধ্যে রয়েছেন ইংল্যান্ডের তৃতীয় স্তরের টায়ার এফসির ইউসুফ জুলকারন। কিরগিজস্তানে জেমি ডে ফ্রান্সের তাহমিদকে ডেকেছিলেন অনূর্ধ্ব-২৩ উপলক্ষ করে, কিন্তু তাহমিদও নেই মারুফের দলে।
প্রবাসী ফুটবলার সম্পর্কে মারুফুল হকের মন্তব্য, ‘ইউসুফ জুলকারনের বিষয়টি অনেকটা ট্রায়ালের মতো। তার ক্যাম্পে এসে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে। তাহমিদকে আমার কাছে সে রকম মনে হয়নি।’ ২৭ অক্টোবর কুয়েতে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই শুরু হবে। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক কুয়েত, উজবেকিস্তান ও সৌদি আরব। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ছাড়া শীর্ষ চার রানার্স আপ মূল পর্বে খেলবে। বাংলাদেশের লক্ষ্য ও সম্ভাবনা সম্পর্কে এখন মন্তব্য করতে চান না মারুফ। বাফুফে তার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পর কেন পুনরায় দায়িত্ব নিলেন এবং লক্ষ্য সম্পর্কে বলবেন মারুফ।
মারুফুল হক চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ। অলিম্পিক দলে কোচিংয়ের জন্য ক্লাব থেকে এক মাসের জন্য ছুটি নিয়েছেন। মারুফ তার অলিম্পিক মিশনে কোচিং স্টাফে সাইফুল বারী টিটু ও জুলফিকার মাহমুদ মিন্টুকে চেয়েছিলেন। দুজন ক্লাবে কাজের সঙ্গে সমন্বয় করতে না পারায় মারুফের সঙ্গী হতে পারছেন না। মারুফের সহকারী হিসেবে দেখা যাবে এখন মাসুদ পারভেজ কায়সার ও আব্দুল কাইয়ুম সেন্টুকে।
সিনিয়র জাতীয় দল ও অলিম্পিক দলের কোচ ভিন্ন হলেও ম্যানেজার একই ব্যক্তি। সত্যজিত দাশ রুপু জাতীয় দলের মতো অনূর্ধ্ব-২৩ দলেরও ম্যানেজার। একই ব্যক্তি দুই জায়গায় ম্যানেজারের দায়িত্বে সমস্যা দেখছেন না জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ, ‘সাফ ১-১৬ অক্টোবর আর অনূর্ধ্ব-২৩ বাছাই অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে। ফলে এখানে তেমন কোনো সমস্যা দেখছি না।’