বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ঢাকার ধামরাইয়ে বড় ভাইয়ের দুই সন্তানসহ তার স্ত্রী কে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেছেন মোঃ রাকিব হোসেন (১৯)। বড় ভাই মোঃ রবিউল ইসলাম (২৬) অভিযোগ করে বলছেন তার দুই ছেলেকে জিম্মি করে এখন ৫ লাখ টাকা দাবি করছেন তারই ছোট ভাই রাকিব। এ বিষয়ে ধামরাই থানায় ছোট ভাই রাকিবের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বড় ভাই রবিউল। বৃহস্পতিবার (২১ মে) দুপুরের দিকে অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আতিকুর রহমান (পিপিএম)।
এর আগে গত (৯ মে) অভিযুক্ত রাকিব তার ভাইয়ের দুই সন্তানসহ স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরের দিন ১০ মে তারা ঢাকার মোহাম্মদপুরে তারা বিয়ে করেন।
জানা যায়, বিদেশ থাকার সময় থেকেই ছোট ভাই রাকিবের সাথে আমার স্ত্রী আরিফার পরকীয়া ছিল। আমি ঢাকায় চাকরি করতাম। আর এই সুযোগে সে রাকিবের সাথে পরকীয়ার জড়িত হয়ে পরে।
ধামরাই উপজেলার রোয়াইল ইউনিয়নের দধিঘাটা এলাকার ইশার আলীর ছেলে মোঃ রাকিব হোসেন (১৯)। সে সৌদি প্রবাসী ছিলেন। চলতি মাসের ২ তারিখে সৌদি থেকে বাড়িতে আসেন তিনি। ভুক্তভোগী বড় ভাই মোঃ রবিউল ইসলাম (২৬) ঢাকার একটি প্রেসে কাজ করেন। এবং রবিউলের স্ত্রী আরিফা আক্তার (২২) মানিকগঞ্জ জেলার মানিকগঞ্জ থানার কইতরা এলাকার মোঃ নজরুল ইসলামের মেয়ে। সে প্রায় ৬ বছর পূর্বে রবিউলকে বিয়ে করেন। তাদের আরহান (৫) ও ইব্রাহীম (২) নামে দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
মোঃ রবিউল হোসেন বলেন, আমার নিজের ছোট ভাই আমার দুই সন্তানসহ আমার স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করেছে। আমি বিদেশ যাবার জন্য আমার চাচার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা এনে ঘরে রাখছি। পালিয়ে যাবার সময় সেই তিন লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। এখন আবার আমার দুই ছেলেকে জিম্মি করে আমার কাছে ৫ লাখ টাকা চাইছে আমার ছোট ভাই। টাকা না দিলে আমার সন্তানদের ক্ষতি করবে। এতদিন আমি কিছু বলি নাই পারিবারিক বিষয়। কিন্তু এখন কোন উপায় না পেয়ে থানায় অভিযোগ দিলাম। আমার স্ত্রী ভাই কাওকে প্রয়োজন নাই আমার। আমার দুই ছেলেকে ফিরিয়ে দিলেই হবে আমার।
অভিযুক্ত রাকিব হোসেন বলেন, আমি আমার ভাবিকে আমার পরিবার ও আমার ভাইয়ের চাপে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি। এই মাসের ১০ তারিখে আমরা বিয়ে করে বর্তমানে ঢাকায় আছি। কিন্তু আমার ভাইয়ের কাছে কোন টাকা পয়সা আমি চাইনি। উল্টো আমি তাকে টাকা দিছি।
রবিউলের স্ত্রী আরিফা আক্তার জানান, আমার স্বামী আমাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতো। আমার মার কাছ থেকে টাকা আনতে বলতো। ওর ছোট ভাই আমার দেবরের কাছ থেকেও টাকা চাইতে বলতো আমাকে। আমি টাকা না চাওয়াতে আমার স্বামী বলতো তুই রাকিবের কাছে টাকা নেছ না কেন। তোর সাথে ওর প্রেমের সম্পর্ক আছে। তোদের বিয়ে পরিয়ে দিবো দুজনকে। এমন নানা রকম চাপের কারণে আমরা বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি। তবে আমি আর রবিউলের সাথে থাকতে চাই না।
এবিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান জানান, রবিউল নামের এক যুবক এরকম একটি অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।