বঙ্গ নিউজ বিডি ডেস্ক : ক্রিকেটে ভারত আর বাংলাদেশের শক্তির ব্যবধান যোজন যোজন। আর সেটা যে কত বেশি, তার প্রমাণ পাওয়া গেল গোয়ালিয়রে। যেখানে অনেকটা দ্বিতীয় সারির দল নিয়েও হেসেখেলে টাইগারদের হারিয়েছে স্বাগতিকরা।
মাধবরাও সিন্ধি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে ১২৭ রানে অল আউট হয় বাংলাদেশ। রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় ভারত। বল বাকি ছিল ৪৯টি। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে স্বাগতিকরা।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দারুণ করে ভারত। প্রথম ১১ বলেই ২৫ রান যোগ করেন সাঞ্জু স্যামসন ও অভিষেক শর্মা। তবে দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন ১৬ রান করা অভিষেক।
উইকেট হারালেও রানের গতি কমায়নি ভারত। স্যামসন ও সূর্যকুমার যাদবের আক্রমণে দিশেহারা ছিলেন পেসাররা। তবে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে সাফল্য পান মুস্তাফিজুর রহমান। তাকে ফ্লিক করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ২৯ রানে সাজঘরে ফেরেন সূর্য।
সঙ্গীর বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টেকেননি ইনিংস ওপেন করতে নামা স্যামসন। মিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ২৯ রানে আউট হন তিনি। অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই উইকেট হারানোর পর দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন নিতিশ কুমার রেড্ডি ও হার্দিক পান্ডিয়া।
শেষ পর্যন্ত নিতিশ ১৬ ও হার্দিক ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে মুস্তাফিজুর ও মিরাজ একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই খেয়ালি শটে ফেরেন লিটন দাস। সেই শুরুর পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ।
সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এছাড়া নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট থেকে আসে ২৭ রানের ইনিংস। তাওহীদ হৃদয় ও তাসকিন আহমেদ দুজনই সমান ১২ রান করেন।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ ব্যাটারই রীতিমতো উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসেছেন। ভারতের হয়ে বরুণ চক্রবর্তী ও আর্শদীপ সিং তিনটি এবং হার্দিক পান্ডিয়া, মায়াঙ্ক যাদব ও ওয়াশিংটন সুন্দর একটি করে উইকেট শিকার করেন।’