বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর ব্যাপক সমালোচনার শিকার হয়েছিল টিম টাইগার্স। তবে সবকিছুকে পিছনে ফেলে গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে সুপার এইট নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। এরপরই বাংলাদেশের সমর্থকরা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল সেমিফাইনাল খেলার।
তবে সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার পর, ভারত পরীক্ষাতেও পাশ করতে পারেনি টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের কাছে রানে হেরে সেমিফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বাংলাদেশের।
শনিবার (২২ জুন) আগে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ১৯৭ রানের লক্ষ্য দেয় ভারত। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। এতে রানের ৫০ জয় পায় ভারত।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরু করে তানজিদ তামিম এবং লিটন দাস। দুজনের ব্যাট থেকে আসে ৩৫ রান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি লিটন। ১০ বলে ১৩ রান করে ক্যাচ আউট হন এই টাইগার ওপেনার।
তিনে ব্যাট করতে নেমে তামিমকে সঙ্গে দলের হাল ধরেন নাজমুল হাসান শান্ত। লিটনের বিদায়ের পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন তানজিদ তামিম। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি এই তরুণ ব্যাটারও। ৩১ বলে ২৯ রান করে কুলদ্বীপ যাদবের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি।
এদিন ইনিংস বড় করতে পারেননি হৃদয়ও। ৬ বলে ৪ রান করেন এই ডান হাতি ব্যাটার। ৭ বলে ১১ রান করে ফেরেন সাকিবও। তবে এক প্রান্ত আগলে রাখেন শান্ত। তবে ফিফটি পাননি তিনি। ৩২ বলে ৪০ রান করে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন শান্ত।
এরপর জাকের আলী ১ রান আউট হলে পিচে এসে ব্যাট চালাতে থাকেন রিশাদ হোসেন। তাকে সঙ্গ দেন রিয়াদ। ৯ বলে ২৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে আউট হন রিশাদ। এতে ৬ বলে বাংলাদেশের লক্ষ্য দাঁড়ায় রান।
শেষ পর্যন্ত শেখ মাহেদীর ৫ রান এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ১৫ বলে ১৩ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। এতে রানের ৫০ জয় পায় ভারত।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন কুলদ্বীপ যাদব। এ ছাড়া জাসপ্রিত বুমরাহ এবং আর্শদ্বীপ সিং দুটি , হার্দিক পান্ডিয়া নেন এক উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই টাইগার বোলারদের উপর চড়াও হয় রোহিত এবং কোহলি। তবে ইনিংস ড় করতে পারেননি রোহিত। ১১ বলে ২৩ রান করে সাকিবের প্রথম শিকার হন তিনি। রোহিত আউট হলেও ব্যাট চালাতে থাকেন কোহলি।
৯তম ওভারে তানজিম সাকিবের হাতে বল তুলে দেন শান্ত। অধিনায়কের ভরসার প্রতিদানও দিয়েছেন সাকিব। ওভারের প্রথম বলে কোহলিকে বোল্ড আউট করেন তিনি। ২৮ বলে ৩৭ রান করে কোহলি আউট হলে পিচে এসেই ছক্কা হাঁকান সূর্যকুমার যাদব। তবে পরের বলেই এই মারকুটে ব্যাটারকে ফিরিয়ে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন জুনিয়র সাকিব।
কিন্ত এক প্রান্ত আগলে রাখেন পান্থ। মারকুটে মেজাজে রান তুলতে থাকেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে ১২তম ওভারে রিশাদের বলে ক্যাচ আউট হন পান্থ।
এরপর ভারত শিবিরে হাল ধরেন শিভাম ডুবে এবং হার্দিক পান্ডিয়া। দুজনের ব্যাটে করে বড় সংগ্রহের দিকে এগোতে থাকে ভারত। তবে ১৮তম ওভারে রিশাদের বলে বোল্ড আউট হন ডুবে। ২৪ বলে ৩৪ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত হার্দিক পান্ডিয়ার ২৭ বলের অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রানের বড় পুঁজি পায় ভারত। সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে বাংলাদেশকে করতে হবে ১৯৭ রান।