বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় অস্ত্রোপচারের পর ভুল গ্রুপের রক্ত দেওয়ায় সবিতা খাতুন নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও রক্তের গ্রুপ নির্ণয়ে অদক্ষতার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজনদের।
শনিবার দুপুরে এমন অভিযোগ করেন গৃহবধূর পরিবারের লোকজন। এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকার কিউর স্পেশালাইজড হাসপাতালে সবিতা খাতুন মারা যান।
সবিতা সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মালসিন গ্রামের মুকুল হোসেনের স্ত্রী ও একই উপজেলার ভাদাস গ্রামের সুজাব আলীর মেয়ে।
বাবা সুজাব আলী ও স্বামী মো. মুকুল হোসেন বলেন, ৯ ফেব্রুয়ারি সন্তান প্রসবের জন্য সবিতাকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ওই দিনই অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের কথা বলেন ডা. রবিউল আলম ও তার স্ত্রী ডা. জান্নাতুল মাওয়া। অস্ত্রোপচারের আগে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়সহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
এ সময় সবিতার রক্তের গ্রুপ এবি পজিটিভ আসে। ওই গ্রুপের রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়। এরপর সফলভাবেই অপারেশন শেষ হয় এবং সুস্থ সন্তান প্রসব করেন সবিতা। কিন্তু পরদিন তাকে রক্তের প্রয়োজন হলে এবি পজিটিভ গ্রুপের রক্ত দেওয়া হয়।
রক্ত দেওয়ার পর থেকেই সবিতার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। অবস্থার অবনতি দেখে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। সেখানে নেয়ার পর রক্ত পরীক্ষা করলে রক্তের গ্রুপ ‘ও পজিটিভ’ শনাক্ত হয়। সেখানে পাঁচদিন চিকিৎসার পর তাকে ঢাকার কিউর স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করলে ‘ও পজিটিভ’ শনাক্ত হয়। ওই হাসপাতালের আইসিইউতে চারদিন চিকিৎসার পর বুধবার ভোরে তিনি মারা যান।
পরে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ভুল রক্ত সঞ্চালনা করা হয়েছে বলে ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করেন কিউর হাসপাতালের চিকিৎসক।
এ বিষয়ে জানতে সাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতালের জেনারেল ম্যানেজার জাকির হোসেনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি এমডি স্যারের সঙ্গে কথা বলে পরে কথা বলব।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তবে ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় না এসে কোর্টের আশ্রয় নিয়েছে বলে জেনেছি।