বঙ্গ নিউজ বিডি প্রতিনিধি : জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের উদ্যোগে ভূমিহীন কৃষক, শ্রমিক জেলে, তাঁতী, কামার, কুমার সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের রাষ্ট্রের মালিকানায় ন্যায্য হিস্যা আদায়ে ভূমিহীন কৃষক শ্রমিক জনতার ঐক্যের আহ্বানে গণ-জমায়েত অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সেখ নাছির উদ্দিন বলেন, ভূমিহীন কৃষক শ্রমিক জেলে তাঁতী কামার কুমার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের রাষ্ট্রের মালিকানার ন্যায্য হিস্যা চাই। বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যতো আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে সর্বত্র কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষ অবদান রেখেছি কিন্তু এখনো আমরা ন্যায্য সম্মান অধিকার বুঝে পাইনি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আমাদেরকে তাদের অঙ্গ সংগঠন করে, তাদের লাঠিয়াল বাহিনী বা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে, নেতা হয়, এমপি-মন্ত্রী হয়ে তাদের নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করে। কৃষক শ্রমিক জনতার ভাগ্যের পরিবর্তন হয় না। এই কলোনিয়াল বৃটিশ পদ্ধতির রাজনীতি ও সংবিধানের ক্ষমতাতন্ত্র আমাদের ভাগ্য পরিবর্তনের বড় বাঁধা। সাধারণ মানুষের কাঁধে পা রেখে ব্যবসায়িক মাফিয়া সিন্ডিকেট সংসদে বসে আইন তৈরি করে, সেই আইনে আমাদেরকে শাসন-শোষন লুটপাট-নির্যাতন করে।
তিনি আরো বলেন, কৃষকেরা কর্পোরেট কোম্পানীর কাছে আজ জিম্মি। শ্রমিকরা তার ন্যায্য পারিশ্রমিক পাচ্ছে না। সকল রাজনীতিবিদ মাফিয়া সিন্ডিকেট আমাদের ভ্যাট-ট্যাক্সের টাকা বিদেশে পাচার করে, নিজেদের বিলাসী জীবন নিশ্চিত করে, আর ঋণের বোঝা আমাদের মাথার উপর চাপিয়ে দেয়।
গণ-জমায়েতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছামিউল আলম রাসু বলেন, যখন সরকার বা দলের পরিবর্তন হয় তখন দলের বড় নেতারা বিদেশে গিয়ে আরাম-আয়েশে থাকে আর দেশের সাধারণ সমর্থনকারীরা বিভিন্ন হামলা-মামলা হয়রানির শিকার হয়। রাজনীতিবিদ আমলা মাফিয়ারা উন্নয়নের নামে শহর ভিত্তিক মেগা প্রজেক্ট করে মেগা দুর্নীতি করে। উন্নয়নের নামে এসব দুর্নীতি আর চলবে না। আমরা কৃষক ভূমিহীন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ রাষ্ট্রের সংখ্যাগরিষ্ট নাগরিক অথচ সরকারি নীতি নির্ধারণে আমাদের কোন প্রতিনিধি নাই। আমরা বরাবরই বঞ্চিত তাই বৃটিশ কলোনিয়াল সংবিধান সংস্কার করে আমাদের মালিকানা, অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার জন্য সংবিধান সংস্কারের নির্বাচনের পরে সরকার গঠনের নির্বাচন দিতে হবে।
মানব বন্ধনে সিনিয়ার সহসভাপতি নন্দিনী লুইজা বলেন এদেশে ৭৫ জন লোক গ্রামে বাস করে, যাদের প্রধান জীবিকা কৃষি, সে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা মান উন্নয়ন করার ক্ষেত্রে সরকারের বড় একটা ভূমিকা থাকা দরকার। কৃষক জমিতে ফসল ফলায় সেই ফসল খেয়ে কিন্তু আমরা শহরে বাস করে, তাদের কাঁধে ভর করে, বিভিন্ন মহলে রাজনীতিবিদ, বিভিন্ন কর্মকর্তা প্রত্যেকেই তাদের মত করে বড় বড় বক্তৃতা দেই। কিন্তু এই কৃষকের ভাগ্যের কোন উন্নয়ন হয় না। এদেশের বেশিরভাগ মানুষ কৃষক, খেটে খাওয়া মানুষ এবং তারা ভূমিহীন। ব্রিটিশ আমল থেকে দেখে আসছি এই ভূমিহীন কৃষকরা যারা কিনা দিনমজুর জমিতে কাজ করে তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশের অর্থনীতি চারা কে চলমান রেখেছে। তাদের ভাগ্যের কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে এ বিষয়ে কেউ কখনো ভেবেছেন কি? যে কোন আন্দোলনের ক্ষেত্রে এই ভূমিহীন কৃষকদেরকে, খেটে খাওয়া মানুষগুলোই কিন্তু সামনে এসে দাঁড়ায়, তাদেরকে নিয়ে রাজনীতি করা হয়, ছলনা করা হয় প্রতি নিয়ত তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়। বিগত সরকারি সরকার এই ভূমিহীন মানুষগুলোকে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে জুয়া খেলে, ফলাও করে মিডিয়াতে প্রকাশ করেছে- ভূমিহীন কৃষকদের জন্য জমি বরাদ্দ করা হলো, ঘর বরাদ্দ করা হলো।কিন্তু সেই জমি এবং ঘর কতটুকু এই ভূমিহীন খেটে খাওয়া মানুষগুলো উপভোগ করতে পারে সেটা কিন্তু কখনোই তলিয়ে দেখা হয় নাই। এদেরকে বিভিন্ন আশা দেখিয়ে বিদেশের বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে বড় অংকের অন
সমাপনী তে সভাপতি আরো বলেন, এদেশে মওলানা ভাসানী, এ কে ফজলুল হক, যোগেন মন্ডলসহ আরো অনেকে বিভিন্ন সময় ভূমিহীন কৃষক শ্রমিক জেলে তাঁতী কামার কুমার সাধারণ মজলুমের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করেছেন। তাঁরা মুক্তির পথপ্রদর্শক ছিলেন। পরবর্তীতে এসব নেতার পোটলা বহনকারীরা বা বিভিন্ন শক্তির কাছে বিক্রি হয়ে এমপি মন্ত্রী হয়ে মওলানা ভাসানীর আর্দশের সাথে বেঈমানী করেছে। তাই আমরা “বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলন” সকল ভূমিহীন কৃষক শ্রমিক জেলে তাঁতী কামার কুমারসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মজলুমের অধিকার আদায়ে নিজেদের নেতৃত্বে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জা
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের অর্থ সম্পাদক ছামসউদ্দিন রাকিব, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মহসিন মিয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার আহবায়ক মোঃ জিয়াউল হক, সদস্য সচিব মোঃ রাকিব, সাতক্ষীরা জেলা আহবায়ক মোঃ আশরাফুল ইসলাম গাজী, ফজরআলী গাজী, নারী নেত্রী মনোয়ারা, নোয়াখালী সবর্নচরের শ্রিমতি ভাগতি মজুমদার প্রমুখ। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি গবেষক লেখক আলহামরা নাসরীন হোসেন লুইজা, সমতা পার্টি’র আহবায়ক হানিফ বাংলাদেশী, শহীদ আবু সাইদ এর হত্যা মামলার সাক্ষী রাষ্ট্র সংষ্কার ছাত্র আন্দোলনের নেতা আবদুল্লাহ আল মাসুদ, গণমুক্তি মঞ্চের আহ্বায়ক সাকিব প্রত্যয় প্রমুখ।