বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ঢাকার মগবাজারে বিস্ফোরণে নিহতের মিছিলে ছিলেন জয়পুরহাটের পাচবিবি টিএন্ডটি মহল্লায় ডা. খয়বরের একমাত্র ছেলে রুহুল আমিন নোমান। ঈদের আগেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল তার। তবে তার আগেই ফিরলেন লাশ হয়ে।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলের অকালমৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার। ২ বছরের কন্যাসন্তান রুবাইয়া জান্নাত নোহা জানতেও পারলো না তার বাবা আর নেই।
নোমান ঢাকার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে রহমান এসোসিয়েট নামে একটি কোম্পানিতে যোগ দেন। রোববার প্রতিদিনের মতো অফিস শেষ করে শান্তিবাগ এলাকায় বাসায় ফিরছিলেন। পথে মগবাজার এলাকায় আসলে প্রচণ্ড বিস্ফোরণে ছাদ ধসে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সকালে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ছেলে হাড়িয়ে কাদতে কাদতে বাবা মা এখন নিস্তব্ধ। নোমানের বাবা খয়বর আলী কাদতে কাদতে বলেন, আমার বড় ২ মেয়ে আর সবার ছোট ছিল নোমান। সেই কলিজাকে আমি হারালাম। আমার এখন কি হবে?
নোমান আড়াই বছর আগে বিয়ে করেন। তার ঘর আলো করে একটি কন্যাসন্তান আসে সংসারে। আর কয়েকদিন পর ঈদে নোমানের বাড়ি আসার কথা ছিল, তার আগেই তিনি ফিরলেন, কিন্তু লাশ হয়ে।
নোমানের স্ত্রী নাবিলা বেগম জানান, সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আমার স্বামী। এখন আমায় কে দেখবে? আমার মেয়ে আর বাবা বলে ডাকতে পারবে না, বলেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি।
এদিকে প্রতিবেশীরা জানান, নোমান খুব শান্তশিষ্ট ভদ্র ও মেধাবী ছিলেন। তার অকালমৃত্যুতে তারাও শোকাহত। কর্তৃপক্ষের গাফিলতের ফলে রুহুল আমিনের মতো আর যেন কেউ অকালমৃত্যুর শিকার হতে না হয়, এটাই দাবি সবার।