আসলাম ইকবাল : দেশের নাট্যাঙ্গানের একজন নাট্য অভিনেতা, নিদের্শক, সংগঠক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মঞ্চ সারথি আতাউর রহমান। তার ৮৩ তম জন্মবার্ষিকী ২৮ জুন, শিল্পকলার স্টুডিও থিয়েটার মঞ্চে বিকেলে জন্ম বার্ষিকী পর্ষদ এক অনুষ্ঠনের আয়োজন করে। মঞ্চ সারথি আতাউর রহমানকে সেলিব্রেশন করতে নাট্যাঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান ভূক্ত নাট্যদল, দল প্রধান, নাট্যকর্মীরা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর কেন্দ্রিয় সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন।
মঞ্চের আলো আধারীতে শুরুতেই মঞ্চে সৈয়দ শামসুর হকের কবিতা আবৃত্তি করেন আবৃত্তিকার মীর বরকত। তিনি বলেন-গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান এর সাবেক চেয়ারম্যান, নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়-এর প্রধান ব্যক্তিত্ব তিনি এখন কবিতা লেখেন। পরে ড. শাহাদাৎ হোসেন নিপু আতা ভাইয়ের ‘স্বাধীনতা’ কবিতা আবৃত্তি করেন। পরে মঞ্চে আসেন প্রফেসর আব্দুস সেলিম (নাট্যকার অনুবাদক)। আতা ভাই আমার বন্ধু, মঞ্চ সারথি আতা ভাই এক জন নির্দেশক, অভিনেতা, রচয়িতা ও সংগঠক। যথার্থই তিনি মঞ্চ সারথি, শিল্প সারথি। আজ তার ৮৩ তম জন্মবার্ষির্কী। অতঃপর তিনি বাধানো পাঠপত্রটি আতাউর রহমানের হাতে তুলেদেন এবং আতা ভাইকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। তিনি বলেন-বঙ্গবন্ধু মঞ্চ নাটকের বিনোদন কর ও অভিনয় নিয়ন্ত্রক আইন তুলে দেন। আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রিয় সংস্কৃতিক সম্পাদক বলেন-মঞ্চ সারথি আতাউর রহমান একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, তিনি আওয়ামী লীগ এর সাংস্কৃতিক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান। পরে মঞ্চে আসেন আইটিআই এর সেক্রেটারী দেব প্রসাদ দেবনাথ, তিনি বলেন-থিয়েটার হচ্ছে গুরুমুখী বিদ্যা, একুশে পদক ও স্বাধীনতা’ পদক প্রাপ্ত আতা ভাই আমাদের মাথার মুকুট। কবিতা আবৃত্তি করেন নায়লা তাবাচ্ছুম চৌধুরী। কবি রবীন্দ্র নাথের ‘পরিচয়’ কবিতা আবৃত্তি করেন। নায়লা – বলেন আতা ভাই আমাদের লোক, এই হলো পরিচয়। আতা ভাই মনের অনুভূতি ব্যক্ত করে বঙ্গবন্ধুকে উদ্দেশ্য করে বলেন উনি প্রকৃতির সন্তান ছিলেন, অভিনয় নিয়ন্ত্রণ আইন পার্লামেন্টে নাকচ করে দিয়েছিলেন। আপনারা অনুষ্ঠানে এসেছেন, যতদিন বাঁচী আমি মনে রাখবো। রবীন্দ্রনাথের ‘রক্ত কবরী’ মঞ্চ নাটকের অংশ বিশেষ অভিনয় করেন আতাউর রহমান ও সঙ্গীতা চৌধুরী। পরিশেষে ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তিনি। ছবিঃ মোস্তাফিজ মিন্টু ও আমিন।