বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার বিকালে তারা পৃথক শোকবার্তা পাঠান। শোকবার্তায় প্রধান বিচারপতি বলেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুর সঙ্গে আমার দীর্ঘ ৪০ বছরের সম্পর্ক ছিল। তিনি অত্যান্ত নির্লোভ, নিরহংকারী এবং সজ্জন ব্যক্তি ছিলেন। প্রধান বিচারপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
অপর এক শোক বার্তায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। তার মত একজন “ভ্যাটার্ন পার্লামেন্টারিয়ান” এর মৃত্যুতে বাংলাদেশের আইন অঙ্গনে এবং সংসদীয় গণতন্ত্রে এক বিরাট শূন্যতা তৈরি হলো। মন্ত্রী শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ মো. খসরুজ্জামান।
বুধবার বিকালে এক শোকবার্তায় তিনি আব্দুল মতিন খসরুর আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শাহ মো. খসরুজ্জামান বলেন, আব্দুল মতিন খসরু ছিলেন আইন জগতের একটি উজ্জল নক্ষত্র। তিনি দেশের ক্রান্তিলগ্নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। দেশের বিচার বিভাগে তার অবদান অপরিসীম।
অকুতোভয় আইনজীবী হিসেবে তিনি আজীবন সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন। বিজ্ঞ এই আইনজীবীর মৃত্যু জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হলো।
জাতীয় আইনজীবী সমিতির সভাপতি আরও বলেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু ছিলেন একজন সৎ, যোগ্য, পরিশ্রমী এবং দক্ষ আইনজীবী। তার মৃত্যুতে দেশের আইন অঙ্গনে বড় ধরনের শূন্যতা সৃষ্টি হলো। এই সজ্জন ব্যক্তির কর্মজীবন নতুন প্রজন্মের আইনজীবীদের জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।
আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার এক শোকবার্তায় তাপস বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী শক্তি ইনডেমনিটি অ্যাক্ট বা দায়মুক্তি অধ্যাদেশের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের পথ রুদ্ধ করেছিল। দীর্ঘ ২১ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করলে তৎকালীন আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুর প্রাণান্ত চেষ্টায় ‘অবৈধ এবং অসাংবিধানিক’ দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল হয়। ফলে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ উন্মুক্ত হয়। এর মাধ্যমে আবদুল মতিন খসরু বাঙালি জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা করেছিলেন।
এদিকে আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে আরও গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনুল কবির এবং আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম।
পৃথক শোকবার্তায় তারা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।