বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : টিকা নিয়ে একেক মন্ত্রী একেক ধরনের কথা বলছেন জানিয়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, মন্ত্রীদের কথা এখন আর মানুষ জানতে চায় না। তাদের বক্তব্যে দেশের মানুষ সরকারের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। বাস্তবতা হলো- সরকার যা করতে বলছেন দেশের মানুষ এখন আর তা করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে জাপা চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে প্রয়াত নেতাকর্মীদের স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেন, গণটিকা কর্মসূচি সফল করে সারাবিশ্ব যখন সব কিছু স্বাভাবিক করে ফেলছে, তখন আমাদের দেশে শতশত মানুষ এক ডোজ টিকার জন্য সারা রাত লাইনে কাটিয়েছেন। বিশেষ করে বয়োবৃদ্ধরা সীমাহীন ভোগান্তিতে রাত কাটিয়েছেন শুধু এক ডোজ করোনা টিকা পাওয়ার আশায়। কারণ, গেল কয়েকদিন তারা বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরেও টিকা পাননি। জাতির জন্য এর চেয়ে লজ্জাজনক সংবাদ আর হতে পারে না।
তিনি বলেন, টিকার জন্য নারী-পুরুষ লাইনে বসে রাত কাটানোর ঘটনা মূল্যায়ন করলেই প্রমাণ হবে গণটিকা কার্যক্রম কতোটা ব্যর্থ। গণটিকা কর্মসূচি সফল করতে অন্তত ২৭ কোটি ডোজ টিকার প্রয়োজন, দেশের মানুষকে বাঁচাতে দ্রুততার সঙ্গে বিভিন্ন সোর্স থেকে টিকা সংগ্রহ করতে হবে।
টিকা নিয়ে একেক মন্ত্রী একেক ধরনের কথা বলছেন জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, মন্ত্রীদের কথা এখন আর মানুষ জানতে চায় না। তাদের বক্তব্যে দেশের মানুষ সরকারের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। বাস্তবতা হলো- সরকার যা করতে বলছেন দেশের মানুষ এখন আর তা করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।
সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে জীবন বাঁচাতে চিকিৎসা ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। উপজেলা এমনকি জেলা পর্যায়ে মুমূর্ষু রোগী প্রায়ই অক্সিজেন সহায়তা পাচ্ছে না। এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা আর হতে পারে না। সে কারণে সংক্রমণ প্রবণ এলাকায় সেনাবাহিনীর সহায়তায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদিসহ দ্রুত ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণ জরুরি হয়ে পড়েছে।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, বিপদের বন্ধুই প্রকৃত বন্ধু। তাই করোনাকালে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকাই জাতীয় পার্টির রাজনীতি। তিনি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ প্রয়াত নেতাকর্মীদের মাগফিরাত কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।