বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: শান্তা চৌধুরী নামে এক নারী বুধবার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে দাবি করেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদের সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) পদে দুই বছরের চুক্তিতে নিয়োগ পেয়েছেন। তিনি নিজেকে জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এবং আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য হিসেবেও ফেসবুক প্রোফাইলে যুক্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শান্তা চৌধুরী নামে কাউকে মন্ত্রীর এপিএস পদে নিয়োগ করা হয়নি। তিনি ফেসবুকে এপিএস পদে নিয়োগ পাওয়ার যে দাবি করেছেন তা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। শান্তা চৌধুরী নামের কাউকে মন্ত্রী ইমরান আহমদ চেনেন না।
মন্ত্রীর এপিএস মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান বলেন, শান্তা চৌধুরী নামের এক নারী নিজেকে এপিএস দাবি করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। বহু মানুষ তাকে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। তিনি নিয়মিত ফেসবুকে মন্ত্রীর ও মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের ছবি আপলোড করছেন। বিষয়টি নজরে আসার পর শান্তা চৌধুরীর প্রকৃত পরিচয় জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করে হলে তিনি সাড়া দেননি। তার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রমনা থানায় জিডি করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া লিঙ্ক (https://www.facebook.com/ santa.chowdhury.75248) অনুযায়ী শান্তা চৌধুরী নামের প্রোফাইল পাওয়া যায়। তাতে লেখা রয়েছে, তিনি বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের নেতা ও কর্মকর্তা। বিশিষ্ট ব্যক্তি ও রাজনীতিকদের সঙ্গে তার ছবি রয়েছে। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের জন্মদিনে তাদের ট্যাগ করে অভিনন্দন জানিয়ে স্ট্যাটাসও দেন নিয়মিত।
গত ২৩ অক্টোবর মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামানকে এপিএস হিসেবে নিয়োগ দেন প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এপিএস হিসেবে রাশেদুজ্জামানের নাম রয়েছে। এ ব্যাপার কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য মন্ত্রীর পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়।
শান্তা চৌধুরী নিজেকে শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিলেও গত ১৮ অক্টোবর গঠিত শ্রমিক লীগের ৩৫ সদস্যের কমিটিতে ওই নামে কেউ নেই। গত ২৪ ডিসেম্বর অনুমোদিত আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটিতেও শান্তা চৌধুরীর নাম নেই।
উপকমিটির সদস্য সচিব অসীম কুমার উকিল এমপি জানান, এ নামের কাউকে তিনি চিনেন না এবং শান্তা চৌধুরীর নামের কেউ কমিটির সদস্য নন। আর্থিক প্রতারণা করতেই এসব ব্যক্তি নিজের আওয়ামী লীগের নেতা দাবি করে এবং তাদের বিরুদ্ধে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শান্তা চৌধুরীর প্রোফাইল থেকে এপিএস পদে নিয়োগ পাওয়ার দাবি করে দেওয়া স্ট্যাটাসটি মুছে ফেলা হয়। এর আধাঘণ্টা পর প্রোফাইলটি লক করা হয়। তার আগে শান্তা চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলতে ম্যাসেজ পাঠানা হলেও সাড়া দেননি। মেসেঞ্জারে ফোন করলে তিনি কেটে দেন। এরপর ব্লক করে দেওয়ায় আর ফোন করা যায়নি।