হাকীম মোঃ সিদ্দিকুর রহমান প্রামাণিক
প্রভাষক,চাঁদপুর ইউনানী তিব্বীয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল।
আজ ৯ মার্চ, ২০২৫—চাঁদপুর ইউনানী তিব্বীয়া (মেডিক্যাল) কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, খ্যাতিমান লেখক, চিকিৎসক ও গবেষক মরহুম হাকীম এম. এম. শাহাদাৎ হোসাইন পাটওয়ারীর নবম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১৬ সালের এই দিনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, রেখে যান একটি সমৃদ্ধ চিকিৎসাব্যবস্থা ও জ্ঞানচর্চার আলোকবর্তিকা।
একজন স্বপ্নদ্রষ্টা চিকিৎসাবিদ
হাকীম শাহাদাৎ হোসাইন পাটওয়ারী ইউনানী চিকিৎসা পদ্ধতিকে বাংলাদেশে জনপ্রিয় করার অন্যতম অগ্রদূত ছিলেন। তার হাত ধরেই চাঁদপুর ইউনানী তিব্বীয়া (মেডিক্যাল) কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বর্তমানে দেশের অন্যতম প্রধান ইউনানী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত। তিনি শুধু একজন চিকিৎসকই ছিলেন না, বরং গবেষণা ও লেখালেখির মাধ্যমে ইউনানী চিকিৎসার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
গবেষণা ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবদান
তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করে বহু মূল্যবান তথ্য ও অভিজ্ঞতা লিপিবদ্ধ করেছেন। তার রচিত বই ও গবেষণা প্রবন্ধ ইউনানী চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের জন্য দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক তথা ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার প্রসারে তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন এবং বহু তরুণ চিকিৎসককে অনুপ্রাণিত করেছেন।
চিকিৎসা ও সমাজসেবায় নিরলস ভূমিকা
মরহুম হাকীম এম. এম. শাহাদাৎ হোসাইন পাটওয়ারী চিকিৎসা ক্ষেত্রে যেমন একজন দিকনির্দেশক ছিলেন, তেমনি সমাজসেবায়ও রেখেছেন অনন্য অবদান। দরিদ্র ও অসহায় রোগীদের জন্য তিনি বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করতেন এবং চিকিৎসাসেবা প্রদান করতেন। তার আদর্শ ও কর্মধারা এখনো বহু চিকিৎসকের অনুপ্রেরণা হয়ে আছে।
তার অবদান কেবল চিকিৎসা ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল না; তিনি ছিলেন একজন মানবতাবাদী ও সমাজ সংস্কারক। আজ তার নবম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি এবং তার রেখে যাওয়া আদর্শ ও শিক্ষা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।
হাকীম শাহাদাৎ হোসাইন পাটওয়ারীর মতো ব্যক্তিত্বরা চিরকাল মানুষের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন। তার জীবন ও কর্ম আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন—এই প্রার্থনা করি।