মোস্তফা আল মাসুদ,বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়। নামটি সারা বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত। এখানে শাসিত আছেন উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত ওলীয়ে কামেল হযরত শাহ সুলতান (রহঃ)। পাশেই মহাস্থান জাদুঘর ও উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহত্তম সবজি হাট৷ এ কারনেই মহাস্থানগড় এলাকায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা মাজার জিয়ারতকারী, পর্যটক ও সবজি ক্রেতা- বিক্রেতাদের সব সময় ভিড় লেগেই থাকতো।
এসব কিছু বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ করে যানজট নিরসন ও জনদূর্ভোগ এড়াতে মহাস্থান ব্যস্ততম এলাকায় স্থাপন করা হয়েছে ফুটওভার ব্রিজ। সাত সম্মুখ বিশিষ্ট এ ফুটওভার ব্রিজ দূরপাল্লার চালক ও পথচারীদের কোনই কাজে আসছে না। সাত সম্মুখ মহাস্থান এই ফুটওভার ব্রিজ মহাসড়ক দখল করে দু’টিতে যত্রতত্র বসানো হয়েছে মৎস্য বাজার, দু’টিতে সিএনজি চারিতো অটোরিকশার ষ্ট্যাণ্ড দু’টিতে মৌসুমি ফল তরমুজের আড়ৎ বসানো হয়েছে।
“মহাস্থান ফুটওভার ব্রিজ দখল দারাত্বের শেষ কোথায়?
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজে ভিতরে বেশিরভাগই দোকান ও ভবঘুরেদের দখলে। ব্রিজের বেশকিছু জায়গায় ময়লা আবর্জনার স্তুপে পরিনত। যে কারণে এর সুবিধা থেকে বঞ্চিত এলাকাবাসী।
স্থানীয় এলাকাবাসীদের অভিযোগ, প্রয়োজনীয় স্থানে ফুটওভার ব্রিজ থাকলেও এটি এখন নামে মাত্র। এটি পুরোপুরি ব্যবহার অনুপযোগী। উল্লেখ্য স্থানে একটু জটলা হলেই চালক ও পথচারীদের সাথে প্রায়ই দখলদারত্বের সাথে মারমুখী আচার-আচরণ ঘটছে।
সচেতন এলাকাবাসী বলছেন, আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে ঈদে ঘরমুখো মানুষদের নির্বিঘ্নে বাড়ী ফিরতে সারাদেশেই যানজট নিরসনে কাজ করছে প্রশাসন । কিন্তু মহাস্থান এ ফুটওভার ব্রিজ শুরুতেই দখলদার আর যত্রতত্র যানবাহনের পার্কিং ও যান ষ্ট্যাণ্ডের ফলে এখন দুর্ভোগ চরমে। এদিকে ব্রিজের পূর্বপাশে একটি ভবন রাস্তার মাঝে এখনও দৃশ্যমান রয়েছে। এটি দ্রুত নিরসন না করার ফলে বগুড়ামুখী যানবাহনের দুর্দশা পোহাতে হচ্ছে।
এলাকাবাসী ও যানচালকদের কাছে এটি একটি গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা চলছে, ঈদের আগেই দখল মুক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।