আজ বাংলাদেশের ফিল্ডিং ভালো হয়নি। মিস ফিল্ডিংয়ে গুণতে হচ্ছে বাড়তি রান। নয়তো আরো কম রানে স্বাগতিকদের বেঁধে ফেলতে পারত।
আজ দুর্দান্ত খেলেছেন মাধেভেরে। ৭৩ রানের ইনিংসটি ৪ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় সাজিয়েছেন।
১৮তম ওভারে বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের লেংথ বল বেবিয়ে এসে লেগে ওড়াতে চেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার। টাইমিং করতে পারেননি। অনেক উঁচুতে ওঠা ক্যাচ তালুবন্দী করতে সক্ষম হন আফিফ হোসেন।
তৃতীয় উইকেটে ডিয়ন মায়ার্সকে সঙ্গে করে মাধেভেরের ৪২ বলে পঞ্চাশ রানের জুটি দলকে বিপদ মুক্ত করে।
২১ বলে ২৬ রান করেন মায়ার্স। তাকে ফেরান বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে তুলে মারেন মায়ার্স। ডিপ পয়েন্টের ফিল্ডার মেহেদি হাসানকে পেরিয়ে যেতে পারেনি তা।
মাধেভেরে-মায়ার্সের ৪৯ বলের ৫৭ রানের জুটি ভাঙে।
শুরুতেই সাফল্য আসে স্পিনারের হাত ধরে। দ্বিতীয় ওভারেই স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে বল তুলে দেন মাহমুদউল্লাহ। আগের ম্যাচে এক ওভারে ১৮ রান দেওয়ার পর আর বোলিং পাননি মেহেদি হাসান।
অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দারুণভাবে দিলেন অফ স্পিনার। বোল্ড করে দিলেন তাদিওয়ানাশে মারুমানিকে।
অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢোকা বল পিছিয়ে গিয়ে খেলার চেষ্টায় পারেননি মারুমানি। ব্যাটের কানা এড়িয়ে আঘাত হানে স্টাম্পে। ৫ বলে ৩ রান করেন তিনি।
এরপর জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান।
আগের ম্যাচে ২২ বলে ৪৩ রান করা রেগিস চাকাভাকে ১৪ রানে ফেরালেন সাকিব।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারটি করেন সাকিব। তার ওপর চড়াও হতে গিয়ে চাকাভ ফেরেন ক্যাচ দিয়ে।
অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বল টেনে খেলার চেষ্টায় টাইমিং করতে পারেননি চাকাভা। মিড অফে দাঁড়ানো শরিফুল ইসলাম বলটি তালুবন্দী করেন।
৯ বল খেলে এক ছক্কায় ১৪ রানে সমাপ্তি ঘটে চাকাভার ইনিংসের।
খেলার ওই পর্যায়ে ৮.৪ ওভারে জিম্বাবুয়ের স্কোর ছিল ২ উইকেটে ৬৯। এরপর ডিয়ন মায়ার্সকে সঙ্গী করে দলকে টেনে নিয়ে যান মাধেভেরে।