সীমান্ত সিরাজ : বিগত ১৭ বছরে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত সব ঘটনার সুষ্ঠু তথ্যানুসন্ধান এবং নির্যাতিত ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) ঢাকার সাভারে মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্র ও সিভিক রাইটস এলায়েন্স (সিআরএ)কর্তৃক আয়োজিত মানবাধিকার,সামাজিক সম্প্রীতি ও ন্যায়বিচার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব সুপাবিশ তুলে ধরে তা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সুপারিশে বলা হয়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত ব্যক্তিবর্গের পরিবারকে অতি দ্রুত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন এবং আহতদের সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করতে হবে।জাতীয় মানবাধিকার কামিশনকে সংস্কার করে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তথ্যানুসন্ধান করতে হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ভূক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে জাতীয় আইন সহায়তা বাজেট থেকে সম্পূর্ণ বিনা খরচে আইনগত সহযোগিতা দিতে হবে। গণতন্ত্র, সুশাসন ও সামাজিক ন্যায়বিচারের স্বার্থে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইন-শৃঙ্খলায় নিয়োজিত বাহিনীর জন্য মানবাধিকার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
সিভিক রাইটস এলায়েন্স (সিআরএ)’র সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক সীমান্ত সিরাজ এর সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সম্পাদক লায়ন মো: খোরশেদ আলম । সভাপতিত্ব করেন মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিক মুহাম্মদ শামসুল হক বাবু ।আরো বক্তৃতা করেন দৈনিক সময় বায়ান্ন পত্রিকার সম্পাদক শম্ভু সরকার,শীল্ড এর নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আলম ফিরোজ, বিডিসাস নির্বাহী পরিচালক মাহবুব বুল আলম,বাংলাদেশ নদী ও পরিবেশ বাচাও আন্দোলন ‘র পরিমল হালদার, বিসিএইচআরডি’র পরিচালক ববিতা কর্মকার, ইয়েস সদস্য তানজিলা তারাসসুম আস্থা ও জুলাই বিপ্লবে শহীদ সন্তান সদ্য’র বাবা আখতারুজ্জামান লিটন প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় লায়ন খোরশেদ আলম বলেন জাতি,ধর্ম ,বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করতে পারলে সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনজনিত ঘটনা কমে যাবে । এজন্য সকলকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।তিনি বলেন মানবাধিকার সার্বজনীন,মানবাধিকার সবার জন্য সবখানে সমান।
বক্তারা বৈষম্যমুক্ত সম্প্রীতির বাংলাদেশ ও মানবাধিকারবান্ধব বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রশাসনের সকল স্তরে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহন নিশ্চিত করার জন্য সকলকে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরুস্কার বিতরণ করা হয়।