বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক :বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, সাবধান হয়ে যান, জনতার কাতারে আসুন। সরকার ক্ষমতায় এসে ওয়াজ বন্ধ করে দিয়েছে। পাশাপাশি নাইট ক্লাবের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে। মদের লাইসেন্স বাড়িয়েছে। মানুষকে নৈতিকভাবে শেষ করে দিচ্ছে এ সরকার।
শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ‘রফিকুল আলম মজনু যুব ঐক্য পরিষদ’ আয়োজিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় আবদুস সালাম এসব কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশে আবদুস সালাম বলেন, র্যাব-পুলিশ নিয়ে চলেন তো, সেজন্য জনগণের কথা শুনতে পান না। মন্ত্রী এমপিদের বলেন র্যাব-পুলিশ ছাড়া চলাফেরা করতে। দেখেন জনগণ খাবলে ধরে কিনা। ১৯৭২-৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ আমরা দেখেছি। মানুষ কীভাবে না খেয়ে মারা গেছে, আমরা দেখেছি। আজ সে অবস্থার হাতছানি আমরা দেখতে পাচ্ছি।
তিনি বলেন, ভালো কাজ করেছিল বলেই বিএনপি এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। গনতন্ত্র মুক্তি না পেলে গণতন্ত্রের মা মুক্তি পাবে না। তাকে জেলে পুরে দিয়ে গনতন্ত্রকেই জেলে পুরেছে। লাখ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে গণতন্ত্রকেই বন্দি করে রেখেছে। গণতন্ত্রের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে নির্বাচন। কিন্তু এখন মানুষের ভোটের অধিকার নেই।
তিনি বলেন, পাগলের হাতে লাঠি থাকলে সামনের কেউই নিরাপদে থাকে না। একটা পাগল সরকার ক্ষমতায়। বর্তমান সরকার যাকে ইচ্ছা, তাকেই আঘাত করছে। এখনো যারা সরকারের পক্ষে কথা বলছেন, অন্যায়-জুলুমের পক্ষে কথা বলছেন, যেকোনো সময় আপনাদের মাথায় আঘাত আসতে পারে।
সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, ১৯৭৪ সালে লঙ্গরখানায় খাবার নিয়ে কুকুর-মানুষের যে কাড়াকাড়ি ছিল, বর্তমানে টিসিবির ট্রাকের পেছনে মানুষের লাইনে সেরকম দৌড়াদৌড়ি। সন্তানকে পাশে রেখে মা টিসিবির লাইনে দাঁড়িয়েছেন। মায়ের কষ্ট দেখে সন্তানও অন্য লাইনে দাঁড়িয়েছে। এর চেয়ে কষ্ট আর কী হতে পারে। এরপরও জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে নির্লজ্জের মতো বলে দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে আছে।