নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নে জমি দখল, হত্যাচেষ্টা ও লুটপাটের অভিযোগে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করার পর এক বাদীকে হুমকি এবং তাঁর বাড়িতে আবার হামলা করা হয়েছে। গত রবিবার রাতে রফিকুলের নির্দেশে তাঁর ৩০ থেকে ৩৫ জন অনুসারী এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ বাদী আলী আজগর ভূঁইয়ার।
এর আগে রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দুটি মামলা করেন কায়েতপাড়ার নাওড়া গ্রামের আলী আজগর ভূঁইয়া ও মো. মামুন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাওসার আলম শুনানি শেষে মামুনের অভিযোগটি রূপগঞ্জ থানায় এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করতে এবং আলী আজগরের মামলাটি পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি) তদন্তের নির্দেশ দেন।
আলী আজগর ভূঁইয়া গতকাল সোমবার বলেন, ‘এক মাস ধরে জমি দখল করতে আমাদের নাওড়া গ্রামে একের পর এক বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালাচ্ছে রফিকের লোকজন। থানা মামলা না নিলে আদালতের মাধ্যমে রবিবার মামলা করি। এই মামলার খবর পেয়ে রফিকের হুকুমে আবারও রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সন্ত্রাসীরা আমাদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। বর্তমানে আমরা আতঙ্কে বাড়িছাড়া।’
আজগরের মামলায় তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখাকে (ডিবি)। গতকাল জানতে চাইলে জেলা ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশনা এখনো আসেনি। পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আলী আজগরের মামলায় রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে। মামুনের মামলায় রফিকুলসহ ১৮ জনের নামে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৩৫ জন আসামি করা হয়েছে।
আলী আজগরের মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৮ নভেম্বর আসামিরা দেশি অস্ত্র নিয়ে বাড়িঘরে হামলা করেন। এ সময় আসামিরা তাঁদের নামে দ্রুত জমি রেজিস্ট্রি করে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। এ ছাড়া বাড়িঘরে ভাঙচুর চালান এবং আসবাব, টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মালপত্র লুট করেন।
মামুনের মামলার বিষয়ে গতকাল জানতে চাইলে রূপগঞ্জ থানার ওসি এ এফ এম সায়েদ বলেন, ‘ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া আদালতে মামলার বিষয়ে এখনো আমাদের হাতে নির্দেশনা আসেনি। এলে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে গতকাল বিকেলে রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে তাঁর ব্যবহূত মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।