তিনি বলেন, ভোটচুরিকে তারা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে, বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী, লুটেরা, ব্যবসায়ী মিলে একটি ভোট চুরির প্রজেক্ট করেছে। আবারও তারা ভোট চুরি প্রকল্পে কাজ করে যাচ্ছে। এগুলো থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় একদফা দাবি।
এই দাবি প্রতিষ্ঠা করে দেশের জনগণ তার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে দেশের জনগণ ভোট দিতে পারবে না। এটা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। বিশ্ব কি বলছে? এই সরকারের অধীনে যে আন্তর্জাতিক মানের সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। সে জন্যই তারা এই নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলছে। আমরা বলেছি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার অধীনে নির্বাচন, তারা সেভাবে বলবে না। তারা বলছে, সুষ্ঠু নির্বাচন। যেটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারকেই বোঝায়। এ কথা বিদেশিরা বলবে না, এ দাবি উঠছে দেশের জনগণের কাছে থেকে।
তারা কিছু বলছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারাতো এসেছে পর্যবেক্ষণের জন্য। যেমন এসেছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তারা দেশের মানুষের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিবে। পর্যবেক্ষক পাঠাবে কি না।
কোনো মতামত নিয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা এ দেশের জনগণের মতামত নিবে। সিদ্ধান্ত নিবে।
মার্কিন নির্বাচনী প্রতিনিধিদল কোনো কিছুর ব্যাপারে বিশেষভাবে জানতে চেয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, সব কিছুর বিষয়ে জানতে চেয়েছে তারা।
এরআগে সকালে ঘন্টাব্যাপী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সাথে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেড আসাদুজ্জামন আসাদ।
মার্কিন প্রাক নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলে এনডিআই প্রতিনিধি হিসেবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- রিক ইন্ডারফোর্থ, মারিয়া চিন আবদুল্লাহ ও মনপ্রীত সিং আনন্দ এবং আইআরআই প্রতিনিধি, বনি গ্লিক, জামিল জাফর এবং জো কাও।