সোমবার বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো: নাজমুল হাসান মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান টিপু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারের বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার সিদ্ধান্তের সাথে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির পক্ষ থেকে একমত পোষণ করে ঢাকাসহ বাংলাদেশের সকল মার্কেট, শপিংমল ও দোকান সকাল ৯টার পরিবর্তে সকাল ১১টায় খোলা এবং এসি ব্যবহার সীমিত বা পরিহার করার জন্য বিশেষভাবে আহ্বান করা যাচ্ছে।’
এদিকে, সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হবে। একইসাথে জ্বালানি সাশ্রয়ে মসজিদসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার সময় ছাড়া এয়ার কন্ডিশনার বা এসি ব্যবহার বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, সোমবার থেকেই ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন স্থগিত করার পাশাপাশি মঙ্গলবার থেকে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং শুরু হবে।
তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, দিনে এক থেকে দুই ঘণ্টা লোডশেডিং থাকবে। আর রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ থাকবে। এছাড়া সপ্তাহে একদিন পেট্রল পাম্পও বন্ধ থাকবে।
একইসাথে সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময় এক থেকে দুই ঘণ্টা কমিয়ে আনার পাশাপাশি সরকারি-বেসরকারি অফিস ভার্চুয়ালি করারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলেও জানান প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা।