বঙ্গনিউজবিডি রিপোর্ট ডেস্ক: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারারে টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে রানের পাহাড় গড়ে থেমেছে বাংলাদেশ। রিয়াদের দেড়শ রানের পাশাপাশি লিটন ও তাসকিনের ফিফটিতে ৪৬৮ রান করেছে টাইগাররা।
এবাদত হোসেন উইকেটের পিছে ক্যাচ তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। অন্যপ্রান্তে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন। এর কিছু আগেই ৭৫ রান করে বোল্ড হন ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটির স্বাদ পাওয়া তাসকিন আহমেদ।
এ ম্যাচে রিয়াদ ও তাসকিনের ব্যাটে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে নতুন একটি রেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। নবম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন তারা।
হারারে টেস্টের প্রথমদিনে মেহেদী মিরাজ আউট হলে ব্যাট করতে নামেন তাসকিন আহমেদ। ক্রিজে আগে থেকেই ছিলেন রিয়াদ। দলের স্কোরবোর্ডে তখন রান ২৭০। দলীয় সংগ্রহ ৩০০ হলেই তখন সবাই খুশি।
তবে রিয়াদ ও তাসকিনের মাথায় হয়তো অন্য কিছু ছিল। তাই প্রথম দিনের বাকি সময় পার করে দেন নির্বিঘ্নে। দ্বিতীয় দিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন তাসকিন আহমেদ। অন্য প্রান্তে দেখে শুনে খেলতে থাকেন রিয়াদ।
বেলা বাড়লেও অবিচ্ছেদ্য থাকেন তাসকিন-রিয়াদ। প্রথম সেশনেই দুজনের জুটি ছাড়ায় ১০০ রানের মাইলফলক। রানের চাকা সচল রেখে সেঞ্চুরি তুলে নেন রিয়াদ। দীর্ঘ ১৭ মাস পর দলে ফিরে ক্যারিয়ারের পঞ্চম শতকের স্বাদ পান তিনি।
অন্যদিকে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট ফিফটির স্বাদ পান তাসকিন আহমেদ। তিনি ৭৫ রানে বোল্ড হলে ভাঙে দুজনের ১৯১ রানের জুটি। রিয়াদ ও তাসকিন ভেঙেছেন ৯ বছর আগের রেকর্ড।
২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নবম উইকেটে ১৮৪ রান যোগ করেছিলেন রিয়াদ ও আবুল হাসান। এতদিন এটাই ছিল দেশের ইতিহাসে নবম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি।
আর মাত্র ৫ রান যোগ করতে পারলেই টেস্ট ইতিহাসে নবম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড করতে পারতেন তাসকিন ও রিয়াদ। ১৯৯৮ সালে জোহানেসবার্গ টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯৫ রানের জুটি গড়েছিলেন মার্ক বাউচার ও ফিল সিমকক্স।
রিয়াদ-তাসকিন ছাড়িয়ে গেছেন পাকিস্তানের আসিফ ইকবাল ও ইন্তিখাব আলমকে। ১৯৬৭ সালে ওভাল টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯০ রানের জুটি গড়েছিলেন তারা। বর্তমানে টেস্ট ইতিহাসের এই রেকর্ডে দুইয়ে আছেন রিয়াদ ও তাসকিন।
এর আগে মাত্র ১৩২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর লিটন দাসের ৯৫ রানের ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। প্রথম দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৮ উইকেটে ২৯৪ রান।
জিম্বাবুয়ের হয়ে মুজারাবানি একাই শিকার করেন ৪ উইকেট। এছাড়া ডোনাল্ড তিরিপানো ও ভিক্টর নাউচি দুটি করে উইকেট নেন।