নিজস্ব প্রতিবেদক : শীর্ষ মাদক সম্রাট নেতা কাদের আক্ষা দিয়ে এবং বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করায়
কুমিল্লা জেলা দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের আউটিয়াখোলা গ্রামের একজন বাসিন্দা মোঃ মফিজুল ইসলামের ছেলে ঠিকাদার মোঃ আবদুল কাদের এর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীক পার্টনার দেবিদ্বার উপজেলার বোশনা গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে কাজী লোকমান হোসাইনের এর বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী আবদুল কাদের। ৬ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেলে কুমিল্লায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবদুল কাদের বলেন,
আমি মোঃ আবদুল কাদের, পিতা মোঃ মফিজুল ইসলাম। আমি কুমিল্লা জেলা দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের আউটিয়াখোলা গ্রামের একজন বাসিন্দা। আমি দীর্ঘ দিন ধরে মেসার্স কামরুল এন্টারপ্রাইজ এর একজন প্রোপ্রাইটর তথা একজন ঠিকাদার বটে। এছাড়া আমার নিজ গ্রামে একে মডেল স্কুল নামীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে আমি গড়ে তুলি, পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডেরর সাথে আমি জড়িত রয়েছি। বর্তমানে আমি আমাদের গ্রামের দক্ষিণ পাড়া জামে মসজিদের কোষাদক্ষ্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি।
এমতাবস্থায় ঠিকাদারি কাজে লাইসেন্স নিয়ে দেবিদ্বার উপজেলার বোশনা গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে কাজী লোকমান হোসাইনের সাথে কাজের বিলের টাকা নিয়ে বিগত ২২ সেপ্টেম্বর-২০২৪ইং কথা কাটাকাটি হয়। আমি কাজী লোকমানের নিকট ঠিকাদারী কাজের বিল বাবত সর্বমোট ২২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা পাই। এর মধ্যে এলজিইডি থেকে বিল বাবত ১৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ১ শত ১৩ টাকার আমাকে একটি চেক প্রদান করা হয়। আমি এই চেক এনআরবিসি ব্যাংক কুমিল্লা কান্দিরপাড় শাখায় লোকমানের একাউন্টে জমা করি। বিনিময়ে ঐ চেকের বিপরীতে লোকমান হোসাইন আমাকে ১৩ লক্ষ টাকার একটি চেক দেয়। টাকা তুলতে গিয়ে আমি ব্যাংকে গিয়ে দেখি লোকমানের একাউন্টে কোন টাকা নেই। এনিয়ে আমি ০৬/১০/২০২৪ইং তারিখে কুমিল্লার বিজ্ঞ আদালতে একটি চেক ডিসঅনার মামলা দায়ের করি।
এরই সূত্রধরে লোকমান আমাকে জড়িয়ে আমার সম্মানহানী করতে বিভিন্ন মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে কুমিল্লার স্থানীয় দৈনিক সমাজকন্ঠ পত্রিকার প্রথম পাতায় এবং কুমিল্লার ডাক ও দৈনিক গণতনত্র নামের ২টি অনলাইনে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে, যা আমার দৃষ্টিগোচরে আসে। আমি এ মিথ্যা সংবাদ প্রচার করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমার বিরুদ্ধে এমিথ্যা সংবাদ প্রচার করার পূর্বে কোন সংবাদকর্মী আমাকে কোন প্রকার জিঙ্জাসাবাদ অথবা কোন প্রকার বক্তব্য না নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় পত্রিকা কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও আমি প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
ভুক্তভোগী ঠিকাদার আবদুল কাদের আরো বলেন, প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ, পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে আমার মানহানী করায় আমি আপনাদের মাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ প্রচারকারী লোকমান হোসাইনকে আইনের আওতায় আনার জন্য অনুরোধ করছি। আমার বিরুদ্ধে সংবাদপত্রে লিখিত সকল তথ্য মিথ্যা ও বনোয়াট।
অভিযোগকারী লোকমান হোসাইনের মোবাইল নাম্বার বন্ধ থাকায় কোন প্রকার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।