বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ১৬ বছর আগে সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে করা মামলার যুক্তিউপস্থাপনের জন্য আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার মামলার যুক্তিউপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মির্জা আব্বাসকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মির্জা আব্বাসের আইনজীবী যুক্তিউপস্থাপন পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ ডিসেম্বর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। মামলাটি রায় প্রচারের তালিকা থেকে সরিয়ে নিয়ে অধিকতর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
আদেশে বিচারক উল্লেখ করেন, মামলার রায় প্রচারের জন্য দিন ধার্য আছে। মামলার একমাত্র আসামি মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহম্মেদকে জেল-হাজত থেকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে পিপি হাজিরা দাখিল করেন।
রায় প্রস্তুতকালে নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের মোট ২৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। আসামির পক্ষে মোট পাঁচজন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষ আসামির সম্পদ বিবরণীসহ আয়কর বিষয়ে এবং অন্যান্য বিষয়ে অসংখ্য ফাইলসহ, কাগজপত্র দাখিল করেছেন।
মামলাটিতে ঘটনাগত এবং তথ্যগত বিষয়সহ জটিল আইনগত বিষয় জড়িত রয়েছে। সে বিষয়ে উভয় পক্ষের অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানি হওয়া আবশ্যক মর্মে আদালত মনে করেন। বিধায় মামলাটি রায় প্রচারের তালিকা হতে উত্তোলন পূর্বক অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানির সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো।আগামী ২৪ জানুয়ারি অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হলো।
এর আগে ২২ নভেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম। সেদিন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমামের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল। রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক রায় ঘোষণার জন্য ১২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। সেদিন দ্বিতীয় দফায় রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ২৮ ডিসেম্বর রায় ঘোষণার জন্য নতুন দিন ধার্য করেন আদালত।
চারদলীয় জোট সরকারের গণপূর্তমন্ত্রী মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় এ মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. শফিউল আলম। মামলায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন সাত কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল আলম।
তদন্তে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০০৮ সালের ১৬ জুন আদালত এ মামলায় দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। বিচার চলাকালীন আদালত ২৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
এ মামলায় মির্জা আব্বাসসহ পাঁচজন সাফাই সাক্ষ্য দেন। তাদের মধ্যে অন্য চারজন হলেন- অ্যাডভোকেট একেএম শাহজাহান ও এনআরবি ব্যাংকের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট নুরুল হোসেন খান, শাহজাহান মিয়া ও কাজী শিফাউর রহমান হিমেল।