বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের দেশত্যাগে নিষেধজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) জাফর হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সায়েম সোবহানের বিদেশযাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আবেদন করে পুলিশ। পরে আদালত পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে সোমবার রাতে রাজধানীর গুলশান-২-এর ১২০ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এই ঘটনায় ওই রাতেই গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ওই তরুণীর বড় বোন নুসরাত জাহান।
মামলায় ওই তরুণীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরকে আসামি করা হয়েছে। গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন।
মোসারাত জাহান মুনিয়ার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান। তাদের বাড়ি কুমিল্লার উজির দিঘির পাড়। মাসে প্রায় এক লাখ টাকা ভাড়ায় গুলশানের ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিলেন মোসারাত। তিনি একাই থাকতেন ফ্ল্যাটে। তার পরিবার থাকে কুমিল্লায়। মুনিয়া মিরপুর ক্যান্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন বলেও জানা গেছে।
নিহত তরুণীর স্বজনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মুনিয়া তার বড় বোনকে ফোন করে বলেছিলেন ঝামেলায় পড়েছেন। এ কথা শুনে তার বোন সোমবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় এসে সন্ধ্যার দিকে ওই ফ্ল্যাটে যান। দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও বোন দরজা খুলছিলেন না। এরও কিছুক্ষণ আগে থেকে তিনি মুনিয়ার ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন। এরপর পুলিশকে খবর দিলে রাতে বাইরে থেকে দরজার তালা খুলে মুনিয়ার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশের গুলশান জোনের এক কর্মকর্তা বলেন, তারা ভবনটির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, মুনিয়ার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপসহ ডিজিটাল ডিভাইসগুলো জব্দ করা হয়েছে। এগুলো যাচাই করে তারপর সব বলা যাবে।
রাতে মরদেহ উদ্ধারের পর ওসি আবুল হাসান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ওই তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তের আগে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে না।’