1. bdweb24@gmail.com : admin :
  2. nemadmin@bongonewsbd24.com : :
  3. him@bdsoftinc.info : Staff Reporter : Staff Reporter
  4. info@wp-security.org : Security_64733 :
শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
জনগণের সরকারই পারবে ১৭ বছরের ধ্বংসস্তূপ পুনর্গঠন করতে- আমিনুল হক সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, রোজা শুরু শনিবার হাতিরঝিলে অস্ত্র ঠেকিয়ে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনাটি আসলে একটি শুটিংয়ের দৃশ্য জাতীয় নাগরিক পার্টি’র নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেন ২২ বছর পর কর্মী সম্মেলন, সংস্কারসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচন দাবি ভূঞাপুরে চর গাবসাড়ায় জোরপূর্বক জমি দখলের পাঁয়তারা! প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা নাগরপুরে জামায়াতে ইসলামীর অফিস উদ্বোধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নাগরপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে উপজেলা জামায়াতের আমীরের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দেবিদ্বারে বিনামুল্যে চক্ষুসেবা ও কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন *ইসলামপুর রেল স্টেশনে টিকিট কালোবাজারির আস্থানা।*

মুফতি মাহমুদ হাসানকে নিয়ে ভয়ংকর তথ্য দিল র‌্যাব

রিপোর্টার
  • আপডেট : শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১
  • ১৮০ বার দেখা হয়েছে

বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : বিভিন্ন ইস্যুতে উগ্রবাদী ও সন্ত্রাসবাদকে উসকে দিত মুফতি মাহমুদ হাসান। সে ‘দাওয়াত ইসলাম’ এর ব্যানারে অন্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্ম পরিবর্তনে উদ্বুদ্ধ করে জঙ্গিবাদে অন্তর্ভুক্তির বিশেষ উদ্যেগ গ্রহণ করে। এ ক্ষেত্রে তারা বিশেষ করে ‘মনস্তাত্ত্বিক অনুশোচনা’ জাগ্রত করার কৌশল অবলম্বন করে। এছাড়া সে মাহফিলের আড়ালে জঙ্গি সদস্য রিক্রুট করত।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহ আলী থানার বেড়িবাধ সংলগ্ন এলাকা থেকে মাহমুদকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। অভিযানে মাহমুদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় উগ্রবাদী পুস্তক ও লিফলেট।

র‌্যাবের দাবি, গ্রেফতার মাহমুদ হাসান গুনবী ওরফে হাসান মানুষকে এতটাই মোটিভেট করতে পারত যে, যে কেউ তাদের মতাদর্শে জড়িয়ে পড়তে কোনো পিছপা হতো না।

শুক্রবার (১৬ জুলাই) রাজধানীর কাওরান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেফতার মাহমুদকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত অধ্যয়ন করার পর মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। ২০০৮ সালে মোহাম্মদপুর জামিয়া রহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে তাইসির দাওরায়ে হাদিস সম্পন্ন করে। পরে সে ঢাকাসহ কুমিল্লা, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও কক্সজারের বিভিন্ন মাদ্রাসায় শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হয়। পাশাপাশি ধর্মীয় মতাদর্শের বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়। ২০১০ সাল থেকে ওয়াজ শুরু করে। ২০১৪ সাল থেকে ধর্মীয় বক্তব্যে উগ্রবাদ প্রচারে নিজেকে সম্পৃক্ত করে। এছাড়া সে ধর্মীয় পুস্তকের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হয়।

তিবি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সে প্রথমে হুজির (বি) সঙ্গে যুক্ত ছিল। পরবর্তীতে জসিম উদ্দিন রাহমানির সঙ্গে তার পরিচয় সূত্রে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। ওই ঘনিষ্ঠতার সূত্রে সে আনসার আল বাংলা টিম (আনসার আল ইসলাম) এর সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়। জসিম উদ্দিন রাহমানি গ্রেফতারের পর সে উগ্রবাদী প্রচারক হিসেবে নিজেকে অধিষ্ঠিত করে।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতার জঙ্গি মাহমুদ হাসান আনসার আল ইসলামের দাওয়াত ও প্রশিক্ষণে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বেশ কয়েকটি মাদ্রাসায় খণ্ডকালীন/অতিথি বক্তা বা দীর্ঘ মেয়াদী শিক্ষকতা বা পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। এসব মাদ্রাসায় সম্পৃক্ত হয়ে জঙ্গিবাদের বিস্তৃতি ঘটিয়ে থাকে বলে জানা যায়। এসব মাদ্রাসাগুলোতে সে উগ্রবাদী বক্তব্য প্রদান ও একই সঙ্গে উগ্রবাদী পুস্তকাদি বিস্তারের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের আগ্রহী করে তোলে। পরবর্তীতে সেই উগ্রবাদী পুস্তকগুলো সরবরাহ করে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষকদের উগ্রবাদী লেকচার প্রদানে উদ্বুদ্ধ ও উগ্রবাদী পুস্তিকা তৈরি, প্রকাশ, প্রণয়নে সহায়তা করে থাকে।

র‌্যাব বলছে, জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ ও আত্মঘাতী জঙ্গি সদস্য হিসেবে আত্মপ্রকাশে দর্শন বা মনস্তাত্ত্বিক পরিবর্তন একটি আবশ্যিক বিষয়। গ্রেফতার মাহমুদ হাসান একজন দর্শন পরিবর্তনকারীর ভূমিকা পালন করে থাকে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়। সে আনসার আল ইসলাম (এবিটি) এর পক্ষে অন্যতম একজন দর্শন পরিবর্তনকারী। দর্শন পরিবর্তনের কৌশল সম্পর্কে গ্রেফতার মাহমুদ হাসান জানায়, এসব কার্যক্রম গোপন আস্তানায় বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেওয়া হয়। যেখানে প্রশিক্ষণার্থীরা আত্মীয়-স্বজন, পরিবার, বন্ধু-বান্ধব থেকে বিচ্ছিন্ন থাকে। প্রশিক্ষণার্থীদের বাইরের জীবন, সমাজ, রাজনীতি, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান ইত্যাদি থেকে দূরে রাখা হয়। পরে তাদের মস্তিকে ধর্মীয় অপব্যাখ্যার মাধ্যমে ভয় ভীতি তৈরি ও স্বাভাবিক জীবন সম্পর্কে বিতৃষ্ণা জাগ্রত করা হয়ে থাকে। ফলে প্রশিক্ষণার্থীদের ভেতর আবেগ, অনুভূতি, বুদ্ধিমত্তা, পারিবারিক বন্ধন, বিচারিক জ্ঞান ইত্যাদি লোপ পায়। এভাবে কোমলমতিদের নৃশংস জঙ্গি হিসেবে গড়ে তোলা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৫ মে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে ঢাকা থেকে গ্রেফতার জঙ্গি আল সাকিব (২০) এর মতাদর্শ পরিবর্তন ও পরবর্তীতে তাকে আত্মঘাতী পন্থায় উদ্বুদ্ধকরণে গ্রেফতার মাহমুদ হাসান গুনবীর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে জানা যায়।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা জানায়, গ্রেফতার জঙ্গি মাহমুদ হাসান আনসার আল ইসলামের আধ্যাত্মিক নেতা। সে নিজ পেশার আড়ালে জঙ্গিবাদ প্রচার করে থাকে। মাহমুদ একাধিক ধর্মীয় সংগঠন/প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত। সংগঠন/প্রতিষ্ঠানগুলোর ভেতর তার ঘনিষ্ঠদের মধ্যে বেশ কয়েকজন জঙ্গিবাদ সংশ্লিষ্টতায় ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। এরমধ্যে সাইফুল ইসলাম, আব্দুল হামিদ, আনিছুর রহমান ও হাসান উল্লেখযোগ্য। সংগঠনের অভ্যন্তরে উগ্রবাদী মতাদর্শদের প্রচারে সে ‌‘ছায়া সংগঠন’ পরিচালনা করত। যাদেরকে ‘মানহাজি’ সদস্য বলা হয়। এসব সদস্যরা সংগঠনের ভেতরে জঙ্গি সদস্য তৈরি করত।

র‌্যাব বলছে, মাহমুদ হাসান গত মে মাসের প্রথম দিকে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। সে কুমিল্লা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে গমন করে এবং দুগর্ম এলাকায় আত্মগোপন করে। জুন মাসের শেষ দিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের প্রেক্ষিতে সে পুনরায় স্থান পরিবর্তন করে বান্দরবানে অবস্থান নেয়। সেখানে ২-৩ দিন অবস্থান করে। পরবর্তীতে সে লক্ষ্মীপুরের চর গজারিয়া ও চর রমিজে ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করে বেশ কয়েকদিন অতিবাহিত করে। আবারও সে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা টের পেয়ে সে স্থানও ত্যাগ করে। পরবর্তীতে সে উত্তরবঙ্গে আত্মগোপনের ও প্রয়োজনে দেশ ত্যাগের পরিকল্পনা করে।

র‌্যাব জানায়, গ্রেফতার জঙ্গি মাহমুদ হাসান বাংলাদেশকে উগ্রবাদী রাষ্ট্র পরিণত করতে উগ্র মতাদর্শ প্রচার, পরিকল্পনা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার গোপন বৈঠক করেছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে সুযোগ সন্ধানের অপপ্রয়াস চালিয়েছে বলেও জানায়।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ

© ২০২৩ bongonewsbd24.com