বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক :রাজধানীতে সাতদিনের ব্যবধানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ওঠানামা করেছে। বাজারে ডাল ও মুরগির দাম বাড়লেও কমেছে পেঁয়াজ-রসুন, আলু ও সবজির দাম। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার, পল্লবী এলাকা, কচুক্ষেত বাজার ঘুরে পণ্যের দামের এ চিত্র দেখা গেছে।
বাজারে বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে। প্রতিকেজি টমেটো ২০ টাকা কমে ১২০ টাকায়, বরবটি ৮০ টাকায়, সিম ৪০-৬০ টাকায়, (গোল) বেগুন ৬০ টাকায়, (লম্বা) বেগুন ৪০ টাকায়, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকায়, পাতা কফি ৪০ টাকায়, করলা ৬০ টাকায়, গাজর প্রতিকেজি ৮০ টাকায়, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকায়, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৫০ টাকায়, পটল ৪০ টাকায়, ঢেঁড়স ৬০ টাকায়, লতি ৬০ টাকায়, মুলা ৪০ টাকায়, কচুর লতি ৬০ টাকায় ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কচুক্ষেত বাজারের সবজি ব্যবসায়ী লিটন আহমেদ বলেন, শীতের মৌসুমে সবজি চাষ হচ্ছে। এমনকি চাহিদা অনুযায়ী বাজারে সবজি আমদানি হচ্ছে। এর ফলে বাজারে সবজির দাম কমছে।
বাজারে আলুর দাম কমেছে। প্রতিকেজি আলু ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত শুক্রবার তা বিক্রি হয়েছিল ৩০ টাকায়। এছাড়া দাম কমে নতুন আলুর কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম কমে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৭৫-৭০ টাকায়।
মিরপুর-১১ এর বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রুমান জায়গিদার বলেন, বাজারে পেঁয়াজের আমদানি ভালো। এজন্য সাতদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। এছাড়া রসুনের দামও কমেছে। চায়না রসুন ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এসব বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হয়েছিল ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। দেশি আদার কেজি ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। চায়না আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা।
বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পেঁপে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়।
এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজি। হলুদের কেজি ১৬০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে দেশি ডালের দাম। কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। গতসপ্তাহে দেশি ডালের কেজি ১০০ টাকা ছিল। ইন্ডিয়ান ডাল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
এসব বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটারও বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। আটা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। হাঁসের ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। সোনালী (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
বাজারে মুরগির দাম বেড়েছে। ১৫ টাকা দাম বেড়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে সোনালি মুরগির কেজি ছিল ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা।
কচুক্ষত বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মামুন আলী বলেন, সরকারি ছুটি ও বিজয় দিবসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছে। এতে মুরগির বিশাল চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে মুরগির দাম বেড়েছে। কয়েকদিন পর দাম স্বাভাবিক হতে পারে।