মঈন মাহমুদ : ২৮ নভেম্বর, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)-এর পরিচালক মো: আহসান কবীরের বদলিজনিত বিদায় সংবর্ধনা বিসিক বোর্ডরুমে অনুষ্ঠিত হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিসিকের চেয়ারম্যান, পরিচালকবৃন্দ ও বিসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। মো: আহসান কবীর বিসিকের ‘পরিকল্পনা ও গবেষণা’ বিভাগের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। এছাড়াও তিনি বিসিকের ‘শিল্প উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ বিভাগের পরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিসিকে ২০/০৬/২০২৩ থেকে ২১/১১/২৪ পর্যন্ত প্রায় দেড় বছর নিষ্ঠা, দক্ষতা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ২৪ নভেম্বর ২৪ তারিখে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
বিদায় অনুষ্ঠানে বিসিকের পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ নানা স্মৃতিচারণ করেন। তাঁরা বলেন, ‘দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে কাজের গতিশীলতা বাড়িয়ে কর্মীদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছেন প্রতিনিয়ত। স্যারের দক্ষতা, নিষ্ঠা ও প্রতিভা দেশের জন্য বিশেষ অবদান রাখবে। স্যারের জানার আগ্রহ, বিবেচনা বোধ, বিচক্ষণতা ইত্যাদি নানা কারণে স্যার আমাদের কাছে ছিলেন বটবৃক্ষস্বরূপ।
বিদায়ী পরিচালক মো: আহসান কবীর সবাইকে ধন্যবাদ দিয়ে বলেন, ‘আমি জীবনকে ছোটভাবে দেখি, জীবন সংক্ষিপ্ত। আমি সময়ের কথা সময়ে বলি, কাজও যথাসময়ে করি। জীবনে দক্ষতা অর্জনে কাজ সম্পর্কে আদ্যোপান্ত ধারণা অর্জন করতে হবে। তাহলে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে। আমাদের সামাজিক কাঠামো আমাদের মধ্যে বিভেদ বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের চিন্তা করতে হবে আমি মানুষ, মানুষে মানুষে পদ পদবীতে কোনো বৈষম্য করা যাবে না। মেধা কখনো পঁচে যায় না, মেধাকে জাগ্রত করতে হয়।’
বিসিক চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দীন আহাম্মদ খান বলেন, ‘আমরা একই সাথে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করেছি, ট্রেনিং করেছি। যেকোনো প্রয়োজনে আমি আহসান কবীরের সাথে পরামর্শ করেছি। আহসান কবীর অত্যন্ত বিচক্ষণ, মেধাবী, অভিজ্ঞ অফিসার ও তিনি দেশের সম্পদ।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিসিক চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দীন আহাম্মদ খান এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিকল্পনা ও গবেষণা বিভাগের মহাব্যবস্থাপক ড. মো: ফরহাদ আহম্মেদ।