বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়েকে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করেছেন মা-বাবা। শুধু তাই নয়, গত পাঁচ মাসে ১২৫ বার নির্যাতন চালানো হয়েছে ওই কিশোরীর ওপর। তাতে সরাসরি জড়িত ছিলেন তার মা-বাবা।
অবশেষে পুলিশের সহায়তা চাইলে অভিযুক্ত মা-বাবা ও সরাসরি যৌন হয়রানি চালানো মধু ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার মাঝরাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের ১৫নং ওয়ার্ড নিউ সার্কুলার রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয় বলে জানান কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম।
তিনি রোববার দুপুরে বলেন, কিশোরীর দেওয়া অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত তার মা, বাবা ও ব্যবসায়ীকে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আর নির্যাতিত কিশোরীকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে।
লিখিত অভিযোগে কিশোরী উল্লেখ করেছে, মা ও বাবা দুজনেই বাসায় বসে মাদক ও নারী ব্যবসা করেন। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। বেশ কয়েক মাস ধরে তাকে (কিশোরীকে) দেহব্যবসা করার কথা বলছিলেন মা-বাবা। কিন্তু কিশোরী তাতে অস্বীকৃতি জানালে প্রতিনিয়তই মারধর করা হতো।
জুন মাসে নগরীর মুনসুর কোয়ার্টার এলাকার মিম মধুঘরের মালিক আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের বাসায় নিয়ে আনোয়ারের সঙ্গে একটি কক্ষে কিশোরীকে আটকে রাখে তার মা। পরে আনোয়ার তার শ্লীলতাহানি করে। এছাড়া জুন থেকে অক্টোবর এই পাঁচ মাসে তার মা-বাবার সরাসরি সহায়তায় ১২৫ বার যৌন নির্যাতন করেছেন ব্যবসায়ী আনোয়ার।
শনিবার বিকালে ঘর থেকে পালিয়ে ওই কিশোরী বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খানকে বিস্তারিত জানায়। পুলিশ কমিশনার তাৎক্ষণিক আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কোতোয়ালি মডেল থানাকে নির্দেশ দেন। পরে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ শনিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে কিশোরীর মা, বাবা ও মধু ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন হাওলাদারকে গ্রেফতার করে।