আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম ‘ক্লারিন’ ও ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবো’ জানিয়েছে, দোহায় আর্জেন্টিনা-পোল্যান্ড ম্যাচে মেসির সঙ্গে বাজি ধরেছিলেন সেজনি। নরওয়ের এক টিভি চ্যানেলকে ম্যাচ শেষে পোলিশ গোলকিপার নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। আর সেই বাজিটা ছিল পেনাল্টি হবে কি, হবে না তাই নিয়ে।
ম্যাচের ৩৯ মিনিটে দারুণ থ্রু বল নিয়ে পোলিশ রক্ষণে ঢুকে পড়েছিলেন ইউলিয়ান আলভারেজ। কিন্তু পোল্যান্ডের ত্রাতা হয়ে গোল ঠেকিয়ে দেন সেজনি। আর আর্জেন্টিনার সেই আক্রমণে সেজনির ফাউলের শিকার হন মেসি।
সেজনির বাঁ হাত মেসির মুখে লেগেছে। হেড দেওয়া থেকে মাটিতে পরে যান মেসি। রেফারি ড্যানি ম্যাকেলি শুরুতে পাত্তা না দিলেও ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি প্রযুক্তি (ভিএআর) জানিয়ে দেয় এটি পেনাল্টি। যদিও পেনাল্টি নিয়ে বেশির ভাগেরই মত, লঘু পাপে গুরুদণ্ড হয়েছে।
সে যাই হোক, সেজনি জানিয়েছেন পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিতে রেফারি ম্যাকেলি যখন মাঠের পাশে মনিটরে ঘটনাটির ভিডিও রিপ্লে দেখছিলেন, তখন মেসির সঙ্গে কথা বলেন তিনি। নরওয়ের একটি টিভি চ্যানেলকে ঘটনাটি ম্যাচ শেষে এভাবে জানিয়েছেন পোলিশ গোলকিপার, ‘পেনাল্টির সিদ্ধান্তের আগে তার সঙ্গে কথা হয়। বলেছি, রেফারি এটি পেনাল্টি দিলে তোমাকে ১০০ ইউরো দেব।’
কিন্তু সেজনির কপাল খারাপ। ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। তবে আর্জেন্টিনা কিন্তু সে যাত্রায় গোল পায়নি। মেসির স্পটকিক রুখে দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই ম্যাচের আগে দেওয়া হুমকিকে সত্যে পরিণত করেন জুভেন্টাস গোলকিপার।
কিন্তু মেসির সঙ্গে ধরা বাজিতে সেজনি হেরে গেছেন। তবে মেসিকে বাজির অর্থ দিতে নারাজ তিনি। জানালেন ‘মেসির সঙ্গে তো বাজিতে হেরে গেছি। জানি না বিশ্বকাপে এসব বৈধ কি না। তারা হয়তো আমাকে শাস্তিও দিতে পারে। তবে এটা নিয়ে ভাবছি না। আমি মেসিকে টাকাটা দেব না। আমার মনে হয় না সে ১০০ ইউরোর জন্য দুঃশ্চিন্তা করবে। তার পর্যাপ্ত টাকাপয়সা আছে।’