মঙ্গলবার রাতে ভারতের ভুবনেশ্বরের কালিঙ্গা স্টেডিয়ামে ৪ গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচ শেষ হয়েছে ২-২ এ। দুই অর্ধে দুটি করে গোল হয়েছে ম্যাচে।
এএফসি কাপে দুই দলের আগের দুইবারের সাক্ষাতে এক ম্যাচ ড্র হয়েছিল, আরেক ম্যাচ জিতেছিল মোহনবাগান। তৃতীয় দেখা মোহনবাগানের ঘরের মাঠে হওয়ায় ফেবারিট ছিল স্বাগতিকরাই। ম্যাচেও ছিল তাদের প্রাধান্য। লিডও নিয়েছিল দুইবার। তবে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র ছিল না কিংস, ছেড়ে দেয়ওনি। দুইবার গোল শোধ করে পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের টানা চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। জিততে না দিয়ে মোহনবাগানকে একটা জবাবও দিয়েছে কিংস। এই ম্যাচ খেলতে ভারত যেতে অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হয়েছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নদের।
২৯ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ড দিমিত্রিয়স পেত্রাতসের গোলে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ম্যাচে ফিরতে বেশি সময় নেয়নি কিংস। ৩৩ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক রবসনের বাড়ানো বলে গোল করে কিংসকে ম্যাচে ফেরান আরেক ব্রাজিলিয়ান ডরিয়েলটন গোমেজ। মিনিট দুয়েক পরই লিড নেওয়ার সুযোগ এসেছিল কিংসের সামনে। আবার সেই ব্রাজিলিয়ান ঝলক। তবে রবসনের পাওয়াফুল শট ক্রসবারে লাগলে সেযাত্রা বেঁচে যায় স্বাগতিকরা।
৫৪ মিনিটে দ্বিতীয়বার লিড নেয় মোহনবাগান। গোল করেন আশীষ রাই। ৬৯ মিনিট পর্যন্ত ২-১ গোলে এগিয়ে জয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলো মোহনবাগান। তবে ব্রাজিলিয়ান রবসনের যাদু যে তখনো বাকি ছিল। ৭০ মিনিটে আরেক ব্রাজিলিয়ান ডরিয়েলটনের পাস ধরে মোহনবাগানের ডিফেন্ডারদের নাচিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন রবসন। তাকে আটকাতে না পেরে ফাউল করেন আশীষ রাই। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজালে রবসনই গোল করেন।
এই ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের শীর্ষে মোহনবাগান। ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বসুন্ধরা কিংস।
বসুন্ধরা কিংস প্রথমার্ধে কালো জার্সি পড়ে খেলেছিল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তারা খেলে লাল জার্সি পড়ে।