এস এম শাহ্ জালাল : মা বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ। মা বাবা যার নাই সেই বুঝে তাদের কদর। ইসলাম বাবা মাকে সর্বোচ্চ মর্যাদার আসন দিয়েছে। কুরআনে বলা হয়েছে আর তোমার রব আদেশ দিয়েছেন যে, তোমরা তাকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদাত করবে না এবং পিতামাতার সাথে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। আর তাদের সাথে সম্মানজনক কথা বল। (বনি ইসরাইল ২৩)
পিতামাতার সাথে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না। (বনি ইসরাইল ২৩)
পিতামাতার সাথে সদাচরণ করবে। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার নিকট বার্ধক্যে উপনীত হয়, তবে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না। (বনি ইসরাইল ২৩)
একবার হযরত মুআবিয়া ইবনে জাহিমাহ আস-সুলামি রসুলুল্লাহ সা.-এর খেদমতে এসে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘হে আল্লাহর রসুল সা.! আমি যুদ্ধে যেতে চাই। আর এ ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কামনা করছি। উত্তরে নবীজি সা. বলেন, তোমার মা জীবিত আছেন কি? সে বলল, হ্যাঁ। নবীজি সা. বললেন, তাহলে তার খিদমতে লেগে থাক। কেননা (তোমার) জান্নাত তার দুপায়ের নিচে (নাসাঈ ৩১০৪)।
মানবতার ধর্ম ইসলাম মাকে দিয়েছে বর্ণনাতীত মর্যাদা ও সম্মান। ইসলামের দৃষ্টিতে বাবার চেয়ে মায়ের মর্যাদা তিনগুণ বেশি। এ প্রসঙ্গে হাদিসে বলা হয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, এক ব্যক্তি রসুল সা.-এর খেদমতে উপস্থিত হয়ে জানতে চাইলেন, হে আল্লাহর রসুল সা.।
মানুষের মাঝে আমার কাছ থেকে সর্বোত্তম সেবা লাভের অধিকার কার? নবী সা. বলেন, তোমার মায়ের। লোকটি পুনরায় জানতে চাইলেন, তারপর কার? তিনি বললেন, তোমার মায়ের। লোকটি পুনরায় জানতে চাইলেন, তার পর কার? তিনি বললেন, তোমার মায়ের। লোকটি আবারও জানতে চাইলেন, তারপর কার? তিনি বললেন, তোমার পিতার। (বুখারি ও মুসলিম)
বাবা মার জন্য দোয়া:
নবীজি বাবা মায়ের জন্য যে দোয়া করবেন, সেটাও শিখিয়ে দিয়েছেন। رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا উচ্চারণ: ‘রাব্বির হামহুমা কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।’ অর্থ: (হে আমাদের) পালনকর্তা! তাদের উভয়ের প্রতি দয়া কর; যেভাবে তারা আমাকে শৈশবে লালন-পালন করেছেন।’
মা বাবার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া:
যাদের বাবা মা মৃত্যু বরণ করেছেন, তাদের জন্যও রসুল সা. দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন। رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ يَوۡمَ يَقُومُ ٱلۡحِسَابُ উচ্চারণ: ‘রাব্বানাগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া, ওয়ালিল মুমিনিনা ইয়াওমা ইয়াক্বুমুল হিসাব।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! রোজ কেয়ামতে আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সকল মুমিনকে ক্ষমা করুন।’
رَّبِّ ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِمَن دَخَلَ بَيۡتِيَ مُؤۡمِنٗا وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ وَٱلۡمُؤۡمِنَٰتِۖ وَلَا تَزِدِ ٱلظَّٰلِمِينَ إِلَّا تَبَارَۢا উচ্চারণ: ‘রাব্বিগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া, ওয়া লিমান দাখালা বাইতিয়া মু’মিনাও ওয়ালিল মু’মিনিনা ওয়াল মু’মিনাত। ওয়ালা তাজিদিজ জা-লিমিনা ইল্লা তাবারা।’ অর্থ: ‘হে আমার রব! আমাকে, আমার পিতামাতাকে, যে আমার ঘরে ঈমানদার হয়ে প্রবেশ করবে তাকে এবং মুমিন নারী-পুরুষদের ক্ষমা করুন এবং আপনি জালিমদের ধ্বংস ছাড়া আর কিছুই বাড়িয়ে দেবেন না।’