এ বিষয়ে মডেল মৌ গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার রাত থেকেই আমি বিব্রত হচ্ছি। আমার নামের সঙ্গে মিলে গেছে এমন একজনকে পুলিশ ধরেছে। আর এতেই অনেকে আমার পরিবার, স্বজন, বন্ধুদের নিউজ লিংক পাঠাচ্ছেন। অথচ তারা কিন্তু দেখছে যে এটা আমি না।
তিনি বলেন, শুধু আমার পরিবারকেই নয়, আমার পরিচিত মানুষদের অনেক বিরক্ত ও বিব্রত করা হচ্ছে। আমার পরিবারের লোকেরা যতই বলছে নিউজটা খুলে দেখ, এটা সাদিয়া ইসলাম মৌ না। তারপরও তারা এমন কথাও বলেছে যে, এদের তো অনেক কিছুই লুকানো থাকে।
জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী বলেন, মডেল তারাই যারা নিয়মিত স্টেজ শো করেন, ফ্যাশন শো করেন। এসব থেকে নিয়মিত সম্মানি নিচ্ছেন- তাদেরকেই মডেল বলা যায়। মডেলের খোঁজে আমরা প্রথমে পোর্টফলিও দেখি। সেখানে যাদের নাম পাওয়া যায় তাদেরকে আমরা মডেল বলব।
‘কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মডেলিংয়ে নেই বা তেমন কাজ করা হয়নি তার। এমন মানুষ যদি নিজেকে মডেল বলতে পছন্দ করেন তাহলে তো আর কারও কিছু করার নাই।’
মৌ বলেন, অবশ্য কিছু দায়িত্ব আমাদের মতো নিয়মিত মডেল-অভিনেত্রীদেরও থাকে। যেমন ধরুন আমি যদি সংগ্রাম করে এই যুগে ফিরে না আসতাম তাহলে এখনকার বাচ্চারা আমাকে মডেল হিসেবে চিনত না। আমি যতই পরিচয় দেই ওদেরকে যে, আমি মডেল মৌ, এখনকার বাচ্চারা কিন্তু আমাকে চিনবে না। আমি এখনও মডেলিংয়ের কাজ করছি বলে এখনকার কিছু ছেলে-মেয়েরা আমাকে চেনে।
গত রোববার গভীর রাতে গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে মিরপুর রোডসংলগ্ন ২২/৯ বাবর রোডে মৌ আক্তারের বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বাসার ভেতরে ঢুকেই ড্রয়িং রুমের পাশেই একটি মিনি বার দেখা যায়। বাসার ভেতরের বেডরুমের একটি ড্রয়ার থেকে পাঁচ প্যাকেট ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। এ ছাড়া ওই বেডরুমের ভেতরে আরেকটি ড্রেসিং রুম থেকে অন্তত এক ডজন বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।