বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে আশা জাগিয়েও হেরে গেল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্ট বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভ পর্বের ম্যাচে ভারত শুরুতে ব্যাট করে ১৮৪ রান তুলেছে।
জবাবে বাংলাদেশ ৭ ওভারে ৬৬ রান তোলার পর দমকা হাওয়ার সাথে বৃষ্টি নামে অ্যাডেলেইডে। বৃষ্টি থামার পরে ডাকওয়ার্থ লুইস মেথড বা বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৫১।
শেষ পর্যন্ত ভারত ৫ রানের জয় পেলে বাংলাদেশের বিপক্ষে। এতে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলার আশা এক প্রকার শেষ, ভারত প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলা।
ম্যাচে যখন বৃষ্টি নেমেছিল তখন মোমেন্টাম ছিল বাংলাদেশের পক্ষে, সেখান থেকে যখন ১৬ ওভারে ১৫১ লক্ষ্য দেয়া হয় সাকিব আল হাসানকে দেখা যায় মাঠে নামার আগে আম্পায়ার মারাইস এরাসমাস ও ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মার সাথে আলাপ করছেন।
সাকিবের চেহারায় পুনরায় মাঠে নামা নিয়ে অস্বস্তি ছিল, মাঠে নামার পর আসলে বোঝা গেছে কেন।
অ্যাডেলেইডে বৃষ্টিবিঘ্নিত মাঠে যারা বসেছিলেন তাদের একজন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন, ধারাভাষ্যকাররা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি বললেও এটা অনেক ভারি বর্ষণ। তখনও বাংলাদেশ ক্রিকেটের বৃষ্টি আইনে পারের চেয়ে ১৭ রানে এগিয়ে ছিল।
বৃষ্টি একটা সময় থেমে গেলে খেলা পুনরায় শুরু হয় এবং যেই বাংলাদেশ দলের প্রথম সাত ওভারে রান ছিল ৬৬ কোনও উইকেট না হারিয়ে। ঠিক ছয় ওভার পরে দৃশ্যপট সম্পূর্ণ বিপরীত। তের ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়িয়েছিল ১৩ ওভারে ১০৮ রান।
ভারতের ক্রিকেট লেখক ও সাংবাদিক বোরিয়া মজুমদার টুইটারে লিখেছিলেন, এখানেই শেষ হওয়ার কথা। বাংলাদেশের আর সুযোগ নেই।
কিন্তু হারশা ভোগলেও বাংলাদেশের ইনিংস বৃষ্টির পর পুনরায় শুরু হওয়ার পর আশাবাদী ছিলেন, তিনি লিখেছিলেন, বাংলাদেশের জন্য এই টার্গেট কঠিন হওয়ার কথা না।
ম্যাচের ২ ওভার বাকি থাকতে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ৩১ রান।
সেখানে তাসকিন আহমেদ একটি চার ও একটি ছয় মেরে বাংলাদেশকে আশা দেখান। কিন্তু নুরুল হাসান সোহান পারেননি।
হার্দিক পান্ডিয়ার সেই ওভারে প্রথম তিন বলে এল ১০ রান। শেষ ২ বলে সোহান ব্যাটে বল লাগাতেই পারেননি।
শেষ ওভারে তখনও প্রয়োজন ছিল ২০ রান। যা আর নিতে পারেননি তাসকিন ও সোহান।