বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: পর্নকাণ্ডে রীতিমতো হৈচৈ পড়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এক এক করে পর্দা ফাঁস হচ্ছে সবার। বেরিয়ে আসছে নানা অজানা তথ্য। প্রশাসনের বক্তব্য অনুযায়ী, বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত মডেলিং বা অভিনয় দুনিয়ার সঙ্গে যুক্ত। ‘মডেল’ বা ‘অভিনেত্রী’ শব্দের ব্যবহার হচ্ছে তাঁদের নামের আগে। সেখানেই আপত্তি জানিয়েছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।
এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে নিজের মতামত প্রকাশ করেছেন জয়া। এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ব্যাক্তিগত পরিচয়, প্রভাব, কখনো বাহ্যিক সৌন্দর্য, কিছু ক্ষেত্রে কপালের জোড়ে দু-একটি বিজ্ঞাপন বা নাটকে কাজ করলেই তাকে মডেল বা অভিনেত্রী বলা যায় কি না সেই ভাবনাটা জরুরী হয়ে উঠছে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় কেউ কোন টাইম পাসিং সোস্যাল প্লাটফর্মে, ফ্রেন্ডলি মেইড ভিডিওতে অভিনয় করেছে, মডেল হিসেবে হয়তো ছবি আছে বাড়ির পাশের কোনও টেইলরের দোকানে অথবা একটা দুটো বিলবোর্ডে, সেও সোস্যাল মিডিয়াতে নিজেকে অ্যাক্টর বা মডেল দাবি করছে। অথচ মডেল বা অভিনেতা/অভিনেত্রী হয়ে ওঠার জন্য যে নিষ্ঠা, একাগ্রতা, জ্ঞান, দর্শন, প্রস্তুতি, সামাজিক ও পেশাদার দায়বদ্ধতা প্রয়োজন সেসবের কিছুই তার নেই’।
জয়ার অনুরোধ, ‘যাকে খুশি মডেল বা অভিনেত্রী বলবেন না। এতে প্রকৃত শিল্পী অসম্মানিত হচ্ছেন’। আচমকা কেন তাঁর এই প্রতিক্রিয়া? সেই কথাও পোস্টে পরিস্কার জানিয়েছেন নায়িকা। তিনি বলেন, ‘কোথাও পুলিশি অভিযানে ধর-পাকড় হলে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় হেডলাইন হয় অমুক মডেল বা অভিনেতা/অভিনেত্রী গ্রেফতার; যা অবধারিতভাবে হয়ে ওঠে আকর্ষনীয় সংবাদ। এ ধরনের হেডলাইন; সর্বজন শ্রদ্ধেয়, প্রথিতযশা অভিনেতা অভিনেত্রী, মডেল সহ বিনোদন মাধ্যমে নিষ্ঠার সাথে কর্মরত সকলের জন্য সামাজিক ভাবে অত্যন্ত বিব্রতকর এবং অসম্মানজনক হয়ে ওঠে। ফলে অনেক ক্ষেত্রে যাঁরা নিষ্ঠা ভরে কাজ করছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি পড়তে হয়; ক্ষোভ প্রকাশ নায়িকার। প্রায়ই আত্মীয়, বন্ধু, পড়শিদের থেকে তাঁদের শুনতে হয়, ‘দেখলাম তোমাদের এক মডেল বা অভিনেতা এই কু-কর্ম করেছেন!’
তিনি অনুরোধ করে বলেন, যাকে তাকে মডেল বা অভিনেত্রীর তকমা দিতে না। সংগঠন থেকে বিষয়টি যাচাই করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি। যাচাই করেন তবে তাঁর নামের পাশে মডেল বা অভিনেত্রীর তকমা লাগানোর মত জয়ার। পাশাপাশি অভিনয়, মডেলিং পেশা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের যে বিভ্রান্তি দূর হবে বলেও জানান এই অভিনেত্রী।