বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ২৫ জন শহীদ পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছে ঢাকায় মহানগর দক্ষিণ জামায়াত।
শুক্রবার এই আর্থিক অনুদান তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়। রাজধানীর শনির আখড়াই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যাত্রাবাড়ী অঞ্চলের উদ্যোগে অনুষ্ঠানে দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বিপ্লবোত্তর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। ৫ আগস্ট থেকেই দুর্বৃত্তদের লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও চাঁদাবাজির প্রতিরোধ এবং ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের কোন উপাসনালায়সহ দেশের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তায় জামায়াতের নেতাকর্মীরা অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জুলুম ও নির্যাতন চালিয়ে এদেশকে বসবাসের অযোগ্য ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সাংবিধানিক সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছিলো। বিচারব্যবস্থাকে দলীয়করণ করে বিচারের নামে অবিচার শুরু করেছিলো। তারা জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে জামায়াতের ১১ জন শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যা করেছে। ১৬ বছরের শাসনামলে জামায়াতের ৫০০ জন নেতাকর্মীকে শহীদ করেছে, ২০ হাজার মিথ্যা মামলা দিয়ে লাখ লাখ নেতাকর্মীকে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে দেয়নি। স্বাধীন বাংলাদেশের সীমানাকে অরক্ষিত করে সীমান্তে ফেলানীর মত লাশ উপহার দিয়েছে। এমতাবস্থায় দেশ পুনর্গঠন করতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, যাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে দেশপ্রেমিক অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে- অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেই সকল শহীদ পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে তাদের কর্মসংস্থান এবং আহতদের সুচিকিৎসা ও পঙ্গুত্ববরণকারীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসাইন, মজলিসে শূরা সদস্য আব্দুর রহিম জীবন।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণের মজলিসে শূরা সদস্য মাওলানা সাদেক বিল্লাহ, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ, শাজাহান খান, মীর বাহার আমিররুল ইসলাম, জুনায়েদ ইসলাম, মাওলানা বায়জিদ হাসান, আবুল হোসেন, নওশাদ আলম ফারুক, মিজানুর রহমান মালেক, অ্যাডভোকেট শাফিউল আলম, আহমেদ রাসেল, মির্জা হেলাল, ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আমান উদ্দিন আমিন প্রমুখ।