বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট নিশ্চিতে মামুলি পুঁজি দাঁড় করিয়েও শুরুর দিকে ভারতকে বেশ শক্তভাবেই চেপে ধরেছিল বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। তবে শেষ পর্যন্ত আশাহত হয়েছে স্বাগতিক দল। ভারতের সঙ্গে বড় ব্যবধানে হেরে সুপার এইট নিশ্চিতের অপেক্ষা বাড়ল তাদের। অন্যদিকে এই গ্রুপের প্রথম দল হিসেবে শেষ আটে জায়গা করে নিলো রোহিত-কোহলিরা।
বুধবার (১২ জুন) নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সুপার এইটে ওঠার লড়াইয়ে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১১০ রানের পুঁজি দাঁড় করায় স্বাগতিকেরা। জবাব দিতে নেমে ৭ উইকেট এবং বল ১০ হাতে থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে ভারত।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফেরেন কোহলি। সৌরভ নেত্রাভালকারের বলে রানের খাতা খোলার আগেই অ্যান্ড্রিস গাউসের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কিং কোহলি।
এরপর উইকেট থিতু হতে পারেননি অধিনায়ক রোহিতও। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ৬ বলে ৩ রান করেন এই ওপেনার। পরপর দুই ওভারে জোড়া শিকার করেন নেত্রাভালকার।
শুরুর ধাক্কা সামলে ঋষভ-সূর্যকুমারের ব্যাট ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট দলটি। এরপর পাওয়ারপ্লে শেষে ভারতের পুঁজি দাঁড়ায় ৩৩ রান।
তবে ঋষভের আউটে ফের ধাক্কা খায় ভারত। আলি খানের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে ২০ বলে ১৮ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন উইকেটকিপার এই ব্যাটার।
এরপর ক্রিজে এসে সূর্যকুমারের সঙ্গে জুটি গড়েন শিভাব দুবে। তাদের জুটিতেই জয়ের স্বপ্ন বুনে ম্যান ইন ব্লুরা। শেষ পর্যন্ত তাদের ৬৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ভর করে সুপার এইট নিশ্চিত করে ভারত। সূর্য ৪৯ বলে ৫০ রানে এবং দুবে ৩৫ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন।
এর আগে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারে বড় ধাক্কা খায় যুক্তরাষ্ট্র। অর্শদীপের প্রথম বলেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন শায়ান জাহাঙ্গীর। এরপর ওভারের শেষ বলে সাজঘরে ফেরেন টপ-অর্ডার ব্যাটার আন্দ্রিস গাউস।
দলীয় ৩ রানে জোড়া উইকেট খোয়ানোর পর হাল ধরেন অ্যারন জোন্স এবং স্টিভেন টেলর। তবে বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি জোন্স। পান্ডিয়ার বলে ফাইন লেগে মোহাম্মদ সিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই ব্যাটার।
পাঁচে নেমে ভারতীয় বোলারদের তোপের সামনে স্টিভেন টেলরকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন নিতিশ কুমার। তবে ২৬ বলে ৩১ রানে ভাঙে এই জুটি। অক্ষরের বলে ২ ছক্কায় ২৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন টেলর।
এরপর রানের চাকা সচল রাখেন নিতিশ। তবে মোহাম্মদ সিরাজের দুর্দান্ত এক ক্যাচে তাকেও প্যাভিলিয়নে ফেরেন। ফেরার আগে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ বলে ২৭ রানের ইনিংস সাজান তিনি।
শেষ দিকে কোরি অ্যান্ডারসনের ১২ বলে ১৫ এবং শ্যাডলির ১০ বলে ১১ রানের ক্যামিওতে ১১০ রানে থামে যুক্তরাষ্ট্রের ইনিংস।