বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করতে অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটি তোলা হলে ভেটো দেয় ইসরায়েলের প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। খবর আলজাজিরার।
নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের তোলা প্রস্তাবের পক্ষে পরিষদের ১৩ সদস্য ভোট দেয়। তবে পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র বিপক্ষে ভেটো দেয়। আরেক স্থায়ী সদস্য যুক্তরাজ্য ভোটদানে বিরত ছিল।
পাঁচটি স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী সদস্য নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ গঠিত। স্থায়ী পাঁচ দেশের ভেটো ক্ষমতা রয়েছে। তাদের কেউ কোনো প্রস্তাবের বিপক্ষে ভেটো দিলে তা নিরাপত্তা পরিষদে আর পাস হয় না।
গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের বিপক্ষে ভেটো দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন উপরাষ্ট্রদূত রবার্ট উড বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র টেকসই শান্তির সমর্থক যেখানে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন—দুই দেশই শান্তি ও নিরাপত্তার সঙ্গে থাকতে পারবে। তবে আমরা গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিকে সমর্থন করি না। এটি পরবর্তী যুদ্ধের বীজ রোপণ করবে মাত্র। কারণ হামাস টেকসই শান্তি চায় না; দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান দেখার ইচ্ছে তাদের নেই।
গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। তাদের দাবি, যুদ্ধবিরতি হামাসকে সুবিধা দেবে। স্থায়ী যুদ্ধবিরতি পরিবর্তে গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির পক্ষে ওয়াশিংটন।
দেড় মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর সর্বাত্মক হামলার পর গত ২৪ নভেম্বর প্রথমবারের মতো চার দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর করে ইসরায়েল ও হামাস। এরপর দুই দফা এই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে একমত হয় দুপক্ষ। তবে শুক্রবার যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হলেও চুক্তি বাড়ানো নিয়ে ঘোষণা দেয়নি কোনো পক্ষই। তবে গাজায় যুদ্ধবিরতি আবারও কার্যকর করতে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে কাতার।
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মনসুর বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই ভোটের অর্থ হলো লাখ লাখ ফিলিস্তিনির জীবন এখনো ঝুঁকির মধ্যে। মার্কিন এই ভেটোকে ‘অমানবিক’ বলে নিন্দা করেছেন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল-রেশিক।