বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ির দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জোরেশোরে অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৌখিকভাবে এ আদেশ দেন।
এ সময় দুদক দুর্নীতির বিষয়ে কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদালতে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনেন দুদকের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি।
আজ একটি জাতীয় দৈনিকে ‘ওয়াসার তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি!’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি এখনো প্রতিবেদনটি পড়িনি। অভিযোগের কিছু শক্ত ভিত্তি থাকতে পারে।’
তাকসিমের বিরুদ্ধে দুদকের কাছে পৃথক তিনটি তদন্ত বিচারাধীন রয়েছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘চলমান তদন্তে নতুন অভিযোগ যোগ করা হবে। আলাদা কোনো তদন্ত শুরু করার প্রয়োজন নেই।’
তিনি বলেন, যদি সর্বশেষ তথ্যের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যের প্রয়োজন হয়, আমরা সাহায্য চাইব।
যুক্তরাষ্ট্রে তাকসিমের বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল সম্পদ থাকলেও দেশে তার কোনো সম্পত্তি নেই। গুলশান-২-এর ৫৫ নম্বর সড়কে সরকারি বাসভবনে তিনি থাকেন না। তিনি থাকেন নয়া পল্টনে, শ্বশুরবাড়িতে।
২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পান প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। এরপর ধাপে ধাপে সময় বাড়িয়ে তিনি এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বিতর্কিত তাকসিম এ খানের পুনর্নিয়োগের ক্ষেত্রেও বিধি মানা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।