বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : তাৎপর্যপূর্ণ এক সফরে আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। নিউইয়র্কে রোহিঙ্গা এবং এলডিসি বিষয়ক বহুপক্ষীয় দু’টি আয়োজনে অংশগ্রহণের ‘বাধ্যবাধকতা’ থাকায় তাকে ফিজিক্যালি যেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী নিজেই।
তবে ওই আয়োজনের ফাঁকে তিনি ওয়াশিংটন সফর করতে চান জানিয়ে মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে বলেন, সফরকালে আমি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্থোনিও ব্লিনকেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চাই। আমরা অ্যাপয়েনমেন্ট চেয়ে প্রস্তাব পাঠালে স্টেট ডিপার্টমেন্ট বৈঠকের একটি সময়ও দিয়েছে। কিন্তু ওই শিডিউল আমার অন্য একটি প্রোগ্রামের সঙ্গে (নিউইয়র্কের একটি পূর্ব নিধারিত কর্মসূচীর সঙ্গে) কনফ্লিক্ট করছে। ফলে এখন উভয়ের সুবিধাজনক সময় খোঁজা হচ্ছে। আশা করছি, রওনা হওয়ার আগে আগেই তা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী ১৫ জুন জাতিসংঘ সদর দপ্তরে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে পূর্ব নির্ধারিত একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
সেখানে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কাছাকাছি সময়ে নিউ ইয়র্কে এলডিসি উত্তরণ নিয়ে আয়োজিত আরেকটি বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। নিউইয়র্ক সফর শেষে মন্ত্রী ওয়াশিংটন যাবেন। উল্লেখ্য, চলামান টিকা কার্যক্রমের স্থবিরতা কাটাতে বিশেষত: চুক্তি সত্ত্বেও ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজের প্রায় ১৫ লাখ টিকার ঘাটতিতে পড়েছে বাংলাদেশ। ওই ঘাটতি পূরণে ঢাকার কাছে যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত একমাত্র বিকল্প। সেই বিবেচনায় দেশটির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মন্ত্রীর ফিজিক্যাল আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে সেগুনবাগিচা। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, দ্বিতীয় ডোজের ১৫ লাখ টিকার ঘাটতি পূরণে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২০ লাখ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা চেয়েছি। তারা টিকা দিবে বলেছে। তবে কত দেবে তা এখনও বলেনি। দেশটির কাছ থেকে এখন পর্যন্ত মর্ডানা এবং ফাইজারের টিকা পাওয়ার আশ্বাস মিলেছে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে টিকা নিয়ে এখন আর কোন কথা হচ্ছে না। আমরা তাদের বলেছি, যেহেতু টিকা দিতে পারছো না তা হলে তোমরা টিকা সংগ্রহে আমাদের জন্য ‘উকিল হও। তারাও চেষ্টা করছে। অপর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী মঙ্গলবারও দাবি করেন- যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার টিকা পাওয়া নিয়ে মোটামুটি একটি লাইন আপ দাঁড়িয়ে গেছে, এটা সফল হলে টিকা নিয়ে আর কোন জটিলতা থাকবে না।