বঙ্গিনিউজবিডি ডেস্ক: গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দী বিনিময় নিয়ে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে এখন দুটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছে। কাতারের মধ্যস্ততায় চলা এই আলোচনার একটি প্রস্তাবে গাজায় আটক বন্দীদের মধ্য থেকে অল্প কয়েকজনকে মুক্তি প্রদান এবং অপরটিতে প্রায় ১০০ বন্দীর মুক্তির বিষয় রয়েছে।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক ইসরাইলি কর্মকর্তা এবং আলোচনার সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক খবরে বলা হয়, ‘আলোচনায় থাকা একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে যে হামাস ১০ থেকে ২০ জন বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেবে। এদের মধ্যে ইসরাইলি নারী ও শিশুর পাশাপাশি আমেরিকানসহ বিদেশীরাও থাকবে। এর বিনিময়ে বৈরিতার সাময়িক বিরতি দিতে হবে।’
সূত্রটি জানায়, ‘শর্তগুলো পূরণ হলে আরো প্রায় ১০০ জনের বড় দলের মুক্তির ব্যবস্থা হবে।’
বন্দী মুক্তির বিনিময়ে হামাস যুদ্ধের সংক্ষিপ্ত বিরতি, আরো মানবিক সহায়তা, হাসপাতালগুলোর জন্য জ্বালানি, ইসরাইল কারাগারগুলোতে আটক নারী ও শিশুদের মুক্তি দাবি করছে। তবে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ তাদের কারাগারে আটকদের মুক্তির ব্যাপারে অনিশ্চয়তার কথা জানিয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আলোচনায় কাতার প্রধান মধ্যস্ততাকারী হিসেবে রয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রও জড়িত রয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের হামলায় ইসরাইলে১,৪০০ নয়, বরং ১,২০০ লোক নিহত হয়েছে। শুক্রবার তারা আগের সংখ্যাটি পরিবর্তন করে। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিওর হাইয়াত বলেন, ইসরাইল নিহত সকলের পরিচয় নির্ণয় করার কাজ করে যাচ্ছে।
নিহতের সংখ্যা কমার কোনো ব্যাখ্যা হাইয়াত দেননি। ওই দিনের হামলার সময় ইসরাইলের পাল্টা জবাবে প্রায় ১,৫০০ হামাস সদস্য নিহত হয়েছে বলে ইসরাইলি পক্ষ দাবি করছে। ওই দিন গাজা থেকে কয়েক হাজার লোক হামলায় অংশ নিয়েছিল। তারা ২৪৫ জনের মতো লোককে গাজায় নিয়ে যায়।
হামলার শিকার ব্যক্তিদের রামলের মিলিটারি রাব্বানিয়াতের প্রধান ঘাঁটিতে রাখা হয়েছে। সেখানেই মৃতদেহগুলো ধীরে ধীরে শনাক্ত করা হচ্ছে নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
জানা যাচ্ছে, ওই দিনের হামলায় ৩১৮ জন ইসরাইলি সৈন্য নিহত হয়েছিল। পুলিশ আরো ৫৯ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। আর বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে প্রায় ৮০০।
ওই হামলার পর গাজায় ইসরাইল বোমা বর্ষণ করে যাচ্ছে। গাজায় নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল এবং অন্যান্য