বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক : ভালো থাকতে হলে হাসিখুশি থাকার চেয়ে সহজ উপায় আর হয়না। দিনের বেশিরভাগ সময় হাসিখুশি থাকলে একদিকে যেমন মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে, তেমনি আরো অনেক শারীরিক উপকার মেলে।
আর তাই মানুষকে হাসিখুশি রাখতে রীতিমত আইন জারি করেছে জাপান। দেশটির একটি শহরে থাকতে গেলে দিনে কম করে এবার হাসতেই হবে। এটাই নতুন আইন।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বরাতে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
সম্প্রতি এমন এক আইন প্রণয়ন হয়েছে জাপানের ইয়ামাগাতায়। এ শহরে বসবাসকারী মানুষজনকে দিনে কম করে একবার হাসতেই হবে। এটা কোনও পরামর্শ বা বার্তা নয়, রীতিমত আইনী নির্দেশ।
জাপানেরই একটি বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা করে জানিয়েছিল শরীরকে ভাল রাখা এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে সুন্দর রাখার জন্য হাসি অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন হাসাও শরীরের জন্য অনেক উপকারি।
সেই গবেষণার কথা মাথায় রেখেই পদক্ষেপ করল ইয়ামাগাতা প্রশাসন। এক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী প্রতিটি শহরবাসীকে প্রতিদিন অট্টহাস্য বা চাপা হাসি, কিছু না কিছু উপায়ে হাসতেই হবে। এছাড়া প্রতিটি কর্মক্ষেত্রকেও হাসি-খুশিতে ভরা পরিবেশ গড়ে তোলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া প্রতি মাসের অষ্টম দিনটিকে হাসির মধ্যে দিয়ে সুস্বাস্থ্য দিবস হিসাবে পালন করতে হবে ইয়ামাগাতার বাসিন্দাদের।
এমনকি নতুন আইন প্রণয়নের পর ইয়ামাগাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগে হাসির উপর গবেষণা শুরু করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় হাসিকে ভালো স্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু বৃদ্ধির জন্য উপকারি বলা হয়েছে।
তবে অনেক রাজনীতিবিদ এই নিয়মের বিরোধিতা করছেন। তারা বলছেন, এটি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি যারা হাসতে পারে না তাদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।
জাপানের সাংবিধানিক ডেমোক্রেটিক পার্টি (সিডিপিজে) সদস্য সাতোরু ইশিগুরো বলেন, “আমাদের উচিত তাদের মানবাধিকার খর্ব না করা, যাদের অসুস্থতা বা অন্যান্য কারণে হাসতে অসুবিধা হয়।”
কিন্তু দেশটির লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)বিরোধীদের পাল্টা জানিয়েছে যে, “আইন মানুষকে হাসতে বাধ্য করে না। এটি একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং সম্মানের উপর জোর দেয়।”
স্থানীয় কর্মকর্তারাও স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে নতুন নিয়ম অনুযায়ী যারা দিনে অন্তত একবার হাসতে অক্ষম তাদের জন্য কোনও শাস্তির ধারা নেই।