বঙ্গনিউজবিডি ডেস্ক: আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পারফামেন্সের ছিটে ফোঁটাও দেখাতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হার দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করলো টাইগাররা। প্রথম ম্যাচে হারলেও এখনও দ্বিতীয় পর্বে খেলার সুযোগ আছে বাংলাদেশের সামনে।
মাহামুদউল্লাহদের পরের ম্যাচ ওমান ও পাপুয়া নিউগিনির সাথে। সেই ম্যাচ দুইটি জিততে হবে বাংলাদেশের। কিন্তু বাংলাদেশ জয় পেলেই সুপার-১২ নিশ্চিত করতে পারে না। কারণ একই গ্রুপে একাধিক দল দুটো ম্যাচ জিতলে মোট রান রেটের হিসেব করবে আইসিসি। আর তাই সুপার-১২ তে উঠতে হলে ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি মোট রান রেটকেও গুরুত্ব দিতে হবে বাংলাদেশকে।
বাছাই পর্বে বাংলাদেশ যদি গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন কিংবা গ্রুপ রানারআপ হয়, তাহলে সুপার-১২ তে বাংলাদেশ চলে যাবে গ্রুপ-২তে। যেখানে আছে ভারত-পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দল। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট দল সরাসরি জায়গা করে নেয় সুপার ১২তে। তখনকার র্যাঙ্কিংয়ে ৯ নম্বরে ছিল শ্রীলঙ্কা এবং ১০ নম্বরে ছিল বাংলাদেশ। অর্থাৎ নিয়ম অনুযায়ী শ্রীলংকা ও বাংলাদেশ প্রথম রাউন্ড খেলে উঠবে। যেখানে পৃথক গ্রুপে তাদের প্রতিপক্ষ হবে বাছাইপর্ব পার করে আসা আরও ছয়টি দল।
বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বা রানার আপ যেভাবেই উঠুক, তাদের অবস্থান হবে বি১। এর মানে বাংলাদেশ ভারত এবং পাকিস্তানের গ্রুপ-২ তেই পড়বে। একইভাবে যদি শ্রীলংকাও প্রথম রাউন্ড পার করে, তাহলে তাদের অবস্থান হবে এ১। অর্থাৎ, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের গ্রুপ-১ এ পড়বে তারা।