মামুনুর রশীদ কুমিল্লা প্রতিনিধি : যৌতুকের জন্য শান্তাকে পিটিয়ে হত্যার পর তার মুখে বিষ ঢেলে দেয় স্বামী-সাজ্জাদুর রহমান শাওন(৩০) ও তার পরিবারের লোকজন। নির্যাতনে তার শরীরের বিভিন্ন স্থান ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে। বাম কানের একাংশ ছেড়া, মাথা থেতলানো ও রক্তাক্তসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত ও রক্তাক্ত ছিল। আমার মেয়েকে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমি আমার শান্তার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। বুধবার বিকেলে দেবীদ্বার উপজেলার ওয়াহেদপুর বাজারে সড়ক অবরোধ করে শান্তা হত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে আয়োজিত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে এ কথা বলেন শান্তার মা রানুয়ারা বেগম।
এলাকাবাসীর ব্যানারে বহুল আলোচিত শান্তা হত্যাকান্ডের বিচারের দাবীতে আয়োজিত ওই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে কয়েকশত নারী-পুরুষ অংশ নেয়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নিজেরা করির কর্মসূচী সংগঠক সুপ্রিয়া মন্ডল, ভূমিহীন নেত্রী রোকেয়া বেগম, মোঃ লিল মিয়া, শান্তার ভগ্নিপতি মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, চাচা নূরু মিয়া প্রমূখ।
উল্লেখ্য, দেবীদ্বার উপজেলার ৪ নং সুবিল ইউনিয়নের নারায়নপুর গ্রামের রুক্কু মিয়া মেয়ে শান্তা আক্তার (২৩)’র স্বামী কুমিল্লার কাপ্তান বাজার এলাকার শুভ মিয়ার পুত্র মো. সাজ্জাদুর রহমান শাওন গত বৃহস্পতিবার (১২জানুয়ারী) তার চাচার মৃত্যুর খবর দিয়ে শান্তাকে বাবার বাড়ি থেকে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। পরদিন শুক্রবার (১৩ জানুয়ারী) শান্তার বাবার বাড়িতে খবর পাঠায় যে, শান্তা বিষ পান করেছে।
ওই ঘটনায় ভিক্টিমের মা রানুয়ারা বেগম (৪২) বাদী হয়ে সোমবার দুপুরে কুমিল্লার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ১ নং ট্রাইবুনাল আদালতে স্বামী-সাজ্জাদুর রহমান শাওন, শ^শুর মো. শুভ মিয়া (৫৫), শাশুরী- ইয়াসমিন বেগম (৫০) সহ ৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।